বিধ্বস্ত অবস্থা। ছবি: রয়টার্স।
তেল আভিভে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরেই ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কার আবহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে তারা সমর্থন করে।
বাইডেনের দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকা ইজ়রায়েলের পাশে রয়েছে।’’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার দাবি করেছে, শুধু কুটনৈতিক সমর্থন নয়, ইরানের ফাতা-২ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা ঠেকাতে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন পেন্টাগনের বাহিনী পুরদস্তুর সামরিক সহায়তা করেছে তেল আভিভকে। ইরানের ছোড়া বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেয় আমেরিকার ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’।
ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার ঘোষণা করে ইজ়রায়েল বুধবার বলেছে, ‘তেহরানকে এ জন্য কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে’। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়ে দিয়েথে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইনি তাদের পরবর্তী নিশানা। অন্য দিকে, হামলা হলে আরও ‘ধ্বংসাত্মক পাল্টা হামলার’ হুমকি দিয়েছে ইরান। এই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুযুধান দু’পক্ষের কাছেই অস্ত্র সংবরণের আবেদন জানিয়েছেন। যদিও পত্রপাঠ তা খারিজ করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এরই মধ্যে বুধবার দক্ষিণ লেবাননে হিজ়বুল্লা যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে ইজ়রায়েল ফৌজের এক তরুণ ক্যাপ্টেন-সহ অন্তত ৮ সেনা নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে তিনটি মেরকাভা ট্যাঙ্ক!