বন্যায় ভাসছে ফেণী। ছবি: রয়টার্স।
বৃষ্টি কমলেও বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। গত কয়েক দিনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে দেশের ১১টি জেলা বন্যায় ভাসছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেণী, নোয়াখালি, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা। বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। জলবন্দি হয়ে আছেন প্রায় ৯ লক্ষ পরিবার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তিনি আরও জানান, বন্যায় চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, কুমিল্লায় ৪, নোয়াখালিতে ৩, কক্সবাজারে ৩, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ফেণীতে এক জন করে মারা গিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে নগদ ৩ কোটি ৫২ লক্ষ, শিশুখাদ্য বাবদ ৩৫ লক্ষ এবং গোখাদ্য বাবদ ৩৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণকাজের অংশ হিসাবে ২০ হাজার ১৫০ টন চাল এবং ১৫ হাজার শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
ত্রাণসচিব আরও জানান, বন্যাকবলিত ১১টি জেলার ৭৭টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ১১ জেলায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। বন্যার জল নেমে গেল যাতে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজের জন্য আশপাশের জেলাগুলি থেকে যথেষ্ট নৌকা, স্পিডবোট আনা হয়েছে।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাকবলিত এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। শনিবার বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টি হয়েছে ৬ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে কোনও বৃষ্টি হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রামের অনেক জায়গায়, রংপুর, রাজশাহি, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেটের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।