—প্রতীকী চিত্র।
স্বামী মাদক মামলায় জেলে বন্দি। খাবার দিতে যাওয়ার নামে তাঁকে মোবাইলের সিমকার্ড দেওয়ার নামে অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তাঁর স্ত্রীও। জেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শরমিনা বিবি। তিনি মুর্শিদাবাদের কুমারপুরের বাসিন্দা।
জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শুক্রবার জেলবন্দি স্বামী মনিরুল শেখের সঙ্গে দেখা করতে কৃষ্ণনগর জেলা সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন শরমিনা। স্বামীর জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেই খাবার পরীক্ষা করতে গিয়েই সন্দেহ হয় কারারক্ষীদের। স্ক্যানার মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করতে ফাঁস হয়ে যায় মহিলার পরিকল্পনা। দেখা যায়, পেঁয়াজের খোসার ভিতরে লুকিয়ে রাখা মোবাইলের একাধিক সিম কার্ড। সব মিলিয়ে ১৩টি সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় শরমিনাকে। এর পর কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর জেলা সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থাতে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার অভিযোগ উঠছিল। নজরদারি শুরু করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সংশোধনাগার এলাকায় সক্রিয় আইপি অ্যাড্রেসগুলিতে নজরদারি চালায় সাইবার শাখা। একটি কথোপকথনে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই জানা যায়, সংশোধনাগরের অভ্যন্তরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে জেলা জুড়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা চালানো হচ্ছে। সংশোধনাগারের ভিতরে মোবাইল ও সিম সরবরাহকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করতে চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খাবার দিতে আসা স্ত্রীর উপরে নজরদারি শুরু করেন জেল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে সন্দেহজনক কোনও গতিবিধি দেখা যায়নি। কিন্তু খাবারের তুলনায় অতিরিক্ত পেঁয়াজ সন্দেহ বাড়িয়ে দেয় কারারক্ষীদের।
প্রথমে তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিশেষ কায়দায় কাটা পেঁয়াজের টুকরোগুলিতে চোখ আটকে যায় এক কারারক্ষীর। বিষয়টি জানানো হয় জেল সুপারকে। এর পর স্ক্যানার মেশিন আনিয়ে তল্লাশি চালানো হয় খাবারে। দেখা যায়, পেঁয়াজের খোসার মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকোনো রয়েছে ১৩টি সিমকার্ড।