—ফাইল চিত্র।
দুর্যোগের সময় বাড়তি সতর্ক না হলে বাড়তে পারে বিপদ। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ার আগে তাই কী কী সতর্কতা নিতে হবে, কোথা থেকে বিপদ হতে পারে, তা জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর।
রবিবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক ক্ষেত্রে রয়েছে। মূলত কাঁচা বাড়ি, ভগ্নদশায় থাকা বাড়ি, ভঙ্গুর বা বিপজ্জনক কাঠামো, আলগা হয়ে থাকা অ্যাসবেস্টস বা ধাতব প্লেট, টিনের চাল থেকে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপ অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত। এ ছাড়া গাছের ডাল ভেঙে ক্ষতি হতে পারে, গাছ উপড়ে যেতে পারে। পেঁপে, কলাগাছ জাতীয় নরম কাণ্ডের গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিদ্যুৎ এবং ফোনের টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি কাঁচা রাস্তাগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
বিপদ থেকে বাঁচতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাড়ির ভিতরে থাকার। জল জমার সমস্যা যেখানে রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকাতে দুর্যোগের সময় না থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। ভগ্নদশায় থাকা এবং কাঁচা বাড়ির ভিতরেও থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রবিবার রাতে ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১০০-১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্য দিকে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতি থাকবে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। তবে তা বেড়ে ৯০ কিলেমিটারও হতে পারে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ঝড়ের গতি ৬০-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। তবে এই গতি বেড়ে ৮০ কিলেমিটারও হতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণের বাকি জেলা গুলিতেও ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।