সাড়ে ন’লক্ষ কোভিশিল্ড আর দেড় লক্ষাধিক কোভ্যাক্সিন পেল রাজ্য।
রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা পাঠানোর জন্য সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরেই রাজ্যে এসে পৌঁছল প্রায় ১১ লাখ টিকা। বুধবার রাতেই ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার কোভিশিল্ড এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে আরও ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোভ্যাক্সিন এসেছে।
সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে টিকা সরবরাহ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে রাজ্যের প্রত্যকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে চাইছেন মমতা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়ে টিকার জোগান বাড়ানোর কথা বলেন তিনি। তার পরই বুধ এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়ে মোট ১১ লক্ষ টিকা পেল রাজ্য।
বাংলা পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে না বলে বার বারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরাসরি টিকা কিনতে রাজ্যগুলিকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা কেনার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তার পর গত ২১ জুন থেকে সব রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছে তারা।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে না বলে তার পরেও সরব হয়েছেন মমতা। এ মাসের গোড়াতেই বিধানসভায় মমতা জানান, অন্য রাজ্যকে তিন-সাড়ে তিন কোটি টিকা দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গকে ২ কোটি টিকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার ১০০ শতাংশই রাজ্য ব্যবহার করেছে। তা ছাড়া ৬৯ কোটি টাকা খরচ করে টিকা কিনেছে রাজ্য।