SSC Case Victims can Check Higher Secondary Answer Scripts

স্বেচ্ছায় উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে পারবেন চাকরিহারা শিক্ষকেরাও, জানাল সংসদ

সংসদ জানিয়েছে, কোনও শিক্ষক যদি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে চান, তাতে আপত্তি নেই। চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে জোর করে উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র নিয়ে নেওয়া হবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২০
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকেরা।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকেরা। — ফাইল চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে পারবেন ‘বাতিল’ হওয়া শিক্ষকেরাও। এখনই তাঁদের কাছ থেকে জোর করে উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়া হবে না। এমনকি, ‘স্বেচ্ছাশ্রম’ দিয়ে কেউ যদি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে চান, তাতে আপত্তি নেই সংসদের। এ বার এমনটাই জানাল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

সংসদ জানিয়েছে, কোনও শিক্ষক যদি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে চান, তাতে আপত্তি নেই। চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে জোর করে উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র নিয়ে নেওয়া হবে না। তবে কোনও শিক্ষক যদি স্বেচ্ছায় উত্তরপত্র ফিরিয়ে দিতে চান, তা-ও গ্রহণ করবে সংসদ। যে উত্তরপত্রগুলি তাঁরা স্বেচ্ছায় ফেরাবেন, সেগুলি অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়ে মূল্যায়ন করানো হবে।

গত সপ্তাহে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের। এঁদের অনেকেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার দায়িত্বে ছিলেন। হিসাব বলছে, রায় ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক জন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করেই তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অন্য দিকে, সংসদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের ৯০ শতাংশ উত্তরপত্র মূল্যায়নের পর জমা পড়লেও কলকাতা ও বর্ধমানে এখনও বেশির ভাগ উত্তরপত্রের মূল্যায়ন হয়নি। এমতাবস্থায় চাকরিহারা বাকি শিক্ষকদের থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের অধিকার কেড়ে নিলে বাড়তি চাপ পড়তে পারে বাকি শিক্ষকদের উপরেও। তাই এমন সিদ্ধান্ত সংসদের। এ বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কিছু দিন আগেই শেষ হয়েছে। এখনও ফল প্রকাশিত হয়নি। এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার খাতা কারা দেখবেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কারণ, যাঁদের খাতা দেখার কথা, তাঁদের অনেকেরই চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁরা আর খাতা দেখার ‘যোগ্য’ নন। অথচ তাঁদের কাছে উত্তরপত্র পাঠানোও হয়ে গিয়েছে। এর পরেই শুরু হয়ে যায় জল্পনা, তবে কি বাতিল শিক্ষকদের থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে উত্তরপত্র? তা ছাড়া, একসঙ্গে এত জন শিক্ষকের থেকে খাতা দেখার অধিকার কেড়ে নিলে বাকি শিক্ষকদের উপরেও বাড়তি চাপ পড়ার কথা, যার জেরে দেরি হতে পারে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশেও। সেই আবহেই এ বার সিদ্ধান্ত নিল সংসদ।

Advertisement
আরও পড়ুন