Weather Today

বাংলা থেকে ক্রমেই ‘নিখোঁজ’ হচ্ছে শীত! এক ধাক্কায় শহরের তাপমাত্রা বাড়ল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৪
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ছবি: পিটিআই ।

সামনেই মকরসংক্রান্তি। কিন্তু তার আগে বাংলা থেকে গুটি গুটি পায়ে উধাও হচ্ছে শীত! গত চার দিন ধরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং এক ধাক্কায় শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে ৫ ডিগ্রিরও বেশি। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকর থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকেই মুখ ভার কলকাতার আকাশের। বেলা বাড়লে মেঘ কেটে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই।

কলকাতার পাশাপাশি পশ্চিমের যে জেলাগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে পারদপতন হয়েছিল, সেই জেলাগুলিতেও এখন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি করে বেড়েছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।

Advertisement

যদিও উত্তরের অনেক জেলাতেই তাপমাত্রার হেরফের হয়নি। কয়েকটি জেলাতে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও এখনও কার্শিয়াং এবং দার্জিলিঙের মতো জেলায় শীতের দাপট কমেনি।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমেছে। পরিবর্তে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। অর্থাৎ সংক্রান্তির সময় ঠান্ডা উপভোগ করতে পারবে না বাঙালি। কমতে পারে পিকনিকে যাওয়ার ধুম। মাঠে মারা যাবে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নলেন গুড়ের পায়েস এবং পিঠে খাওয়ার মজাও।

আরও পড়ুন
Advertisement