Partha Chatterjee

SSC Recruitment scam: পার্থ-অর্পিতার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক লেনদেনে নজর! দেখা হতে পারে আয়কর রিটার্নের নথিও

সূত্রের খবর, পার্থের সঙ্গে মিলছে না অর্পিতার বয়ান। টাকা পাচারে উঠছে হাওয়ালা তত্ত্ব। দু’জনের ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালানো হতে পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২২ ১৫:২৫
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ‘কাছের মানুষেরা’ এ বার আসতে পারেন ইডির আতস কাচের নীচে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য এমনকি, আয়কর রিটার্নের তথ্যও ঘেঁটে দেখতে পারেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে তেমনই খবর। সম্প্রতিই পার্থ-‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে একাধিক সংস্থার নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। সেই সব তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্তকারীদের অনুমান, হাওয়ালার মাধ্যমে হয়তো বিদেশেও টাকা পাচারের চক্র চলত এই সব ফ্ল্যাট থেকে। তাঁদের ধারণা, সে ক্ষেত্রে দুই ‘প্রভাবশালী’র ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তি মারফত যদি টাকা পাচার হয়ে থাকে, তবে ওই দু’জনের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর দিলে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে।

ইডি সূত্রে দাবি, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বেশ কিছু সংস্থার নথি এসেছিল তাদের হাতে। মিনিস্ট্রি অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার ওই ফ্ল্যাটের ঠিকানাতে দু’টি সংস্থাও রয়েছে। সেই সব সংস্থার ইমেলে পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার নামের আদ্যক্ষর। একই ঠিকানায় দু’টি সংস্থা থাকায় প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে তার নামে টাকার লেনদেন চালাতেন অর্পিতা। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আর কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেও এর পর তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়াতেই বিদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের তত্ত্বও উঠে আসে।

Advertisement

ইডি সূত্র খবর, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা বাংলাদেশ বা অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এই ধরনের কাজে যেহেতু বিশ্বস্তদের উপরই ভরসা করা হয়, সে জন্য পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও দেখতে চাইছে ইডি। এর আগে অর্পিতার জামাইবাবু কল্যাণ ধরের নাম একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল ইডি। যদিও কল্যাণ কাজ করতেন ওই সংস্থার গাড়ির চালক হিসেবে। পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক তথ্যে নজর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে সূত্রের খবর।

এ ছাড়াও পার্থ এবং অর্পিতাকে খুব শীঘ্রই আবারও মুখোমুখি বসিয়ে আবার জেরা করা হতে পারে বলে ইডির বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতার বয়ান পরস্পরের সঙ্গে মিলছে না। এই অসঙ্গতির সমাধান করতেই দু’জনকে একাধিক বার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছে ইডি। যদিও ইতিমধ্যেই পার্থর সঙ্গে অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement