ছবি আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।
সর্বকালীন রেকর্ড করল মাধ্যমিক। এ বছর যে সবদিক থেকেই ব্যতিক্রমী তা প্রমাণ করে দিল সদ্য প্রকাশিত মাধ্য়মিকের রেজাল্ট। এই প্রথম ১০০ শতাংশ ছাত্র ছাত্রীই পাশ করলেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়। তাও আবার পরীক্ষা না দিয়েই।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন। তিনি জানান, অতিমারী পরিস্থিতিতে যেহেতু এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই ইন্টারনাল ফরম্যাটিং ইভ্যালুয়েশন পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির দু’টি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরেও। ফল ঘোষণার আগেই তাই কল্যাণময় জানিয়ে দেন, এ বছর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরই বেশি নম্বর পাওয়ার সুযোগ থাকছে। তবে পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা যে এক ধাক্কায় গত বছরের ৮৬.৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০০ শতাংশে পৌঁছবে তা ভাবতে পারেননি কেউ। এদিন সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা লিখেছেন, ‘যাঁরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।’
Heartiest congratulations to all students who successfully cleared the Madhyamik examinations! May you keep shining in the future and go ahead to achieve much more in life.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 20, 2021
My best wishes to all parents, support systems & teachers as well!
এ বছর মেধা তালিকা নেই। তাই এক থেকে ১০ কারা রয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে সর্বোচ্চ নম্বর কত, তা জানা গিয়েছে। কল্যাণময় জানিয়েছেন, এ বছর সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। আর সেই নম্বর পেয়েছেন ৭৯ জন পরীক্ষার্থী। এখানেও রেকর্ড। এই প্রথম একসঙ্গে ৭৯ জন সর্বোচ্চ নম্বর পেলেন। তা হলে কি ৭৯ জনই প্রথম স্থান অধিকার করেছেন? হাসিমুখে কল্যাণময়ের জবাব, ‘‘আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি যে, ৭৯ জন পরীক্ষার্থী ৬৯৭ নম্বর পেয়েছেন।’’
রেকর্ড হয়েছে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাতেও। সাংবাদিক বৈঠকে না বললেও এদিন পর্ষদের তরফে একটি ব্রোশিওর প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে এ বছর ৯০ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন।
এ বছর ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাটিও নজর করার মতো। ছাত্রদের তূলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি। মোট ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৫০ জন ছাত্র। ছাত্রী ৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৪৯ জন।