Dharmendra Pradhan

রাজ্যকে ‘কুম্ভকর্ণ’ কটাক্ষ ধর্মেন্দ্রের

কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়ে এর আগেও বেশ কয়েক বার রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যে এসে শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন ধর্মেন্দ্র।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৩
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ফাইল চিত্র।

আদালতের নির্দেশে যখন একের পর এক নিয়োগ বাতিল হচ্ছে, তখন দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যকে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রমাণিত। কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ছবি সবাই দেখেছেন। মন্ত্রী-আমলারা গ্রেফতার হয়েছেন। তা-ও সরকারের হুঁশ ফেরেনি। এমনকি, যোগ্য প্রার্থীরা কবে চাকরি পাবেন, সেই প্রশ্নও তিনি ছুড়ে দিয়েছেন। পাল্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্যের বকেয়া মেটানোর কথামনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।

হেরে যাওয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলোতে দলকে বুথ স্তরে শক্তিশালী করতে বিশেষ সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দেশের ১৪৪টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রাজ্যের ১৯টি লোকসভা রয়েছে। লোকসভা কেন্দ্রগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলীয় মন্ত্রী-সাংসদদের। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়ে এর আগেও বেশ কয়েক বার রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যে এসে শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন ধর্মেন্দ্র। সেখানেই তিনি নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যকে এক হাত নেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক ভাবে চলছে না। গত কয়েক বছর ধরে বেকার যুবকেরা এখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মন্ত্রী জেলে আছেন। আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়েছেন। এর পরেও রাজ্য সরকারের কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভাঙেনি, এটা খুব চিন্তার বিষয়!’’ সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সরকার আর কত দিন সময় নেবে বেকার যুবকদের ন্যায় দেওয়ার জন্য। এই সমস্ত বিষয় জানিয়েই গত অগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাইনি।’’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু বলেন, ‘‘আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটাক। তার পরে এই সব নিয়ে কথা বলবে!’’

Advertisement

সল্টলেকে এ দিন খড়গপুর আইআইটি-র গেস্ট হাউস ও জাতীয় গ্রন্থাগারে দু’টি সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত লোক, তাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে, এটাই তাঁদের প্রয়াস। সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, জেলা নেতাদের বুথে যেতে হবে, শক্তি কেন্দ্রে যেতে হবে। ঘুরে দাঁড়াতে গেলে বুথ স্তর থেকে দলের শক্তি বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement