AITC

TMC: পারস্পরিক দ্বন্দ্ব কমানোর বার্তা দিয়ে কোচবিহার ও নদিয়ার ব্লক কমিটি ঘোষণা তৃণমূলের

শনিবার কোচবিহার ও নদিয়ার দু’টি সাংগঠনিক জেলার ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২২ ১৬:৩১
ব্লক সভাপতি পদে বদল ঘটিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কমানোর চেষ্টা তৃণমূলে।

ব্লক সভাপতি পদে বদল ঘটিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কমানোর চেষ্টা তৃণমূলে। প্রতীকী ছবি

আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা কমিটির পাশাপাশি ব্লক কমিটিগুলিও ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই পর্যায়ে শনিবার কোচবিহার ও নদিয়ার দু’টি সাংগঠনিক জেলার ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব কমানোর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। নদিয়া উত্তর ও দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার ব্লক সভাপতিদের বেশ কিছু জায়গায় রদবদল করা হয়েছে। কিছু জায়গায় বহাল রয়েছেন পুরনো সভাপতিরা। কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার একটি ব্লকে সভাপতি বদল করা হয়েছে। চাপড়াতেও এসেছেন নতুন সভাপতি। কৃষ্ণনগর -২ ব্লক সভাপতি করা হয়েছে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। কৃষ্ণনগর -১ ব্লকের উত্তর বিধানসভার নতুন ব্লক সভাপতি করা হয়েছে দেবব্রত ঘোষকে। কৃষ্ণনগর -১ ব্লকের দক্ষিণ বিধানসভার ব্লক সভাপতি হয়েছেন কর্তিক ঘোষ। কালিগঞ্জ ব্লকের সভাপতিপদে রয়ে গেলেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, নাকাশিপাড়ার ব্লক সভাপতি হলেন কনিষ্ক চট্টপাধ্যায়কে। চাপড়ায় নতুন ব্লক সভাপতি করা হল সুকদেব ব্রহ্মকে। এরা প্রত্যেকে বিধায়কদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। নতুন ঘোষিত কমিটিতে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের অনুগামীদের প্রভাব তুলনামূলক ভাবে কম বলেই জানিয়েছেন নদিয়া জেলার এক নেতা।

Advertisement

কোচবিহার জেলার তৃণমূলের ২২টি সাংগঠনিক ব্লকের মধ্যে ১৫ টি ব্লকেই আনা হয়েছে নতুন মুখ। যুব সংগঠনের ক্ষেত্রেও ২২ টি সাংগঠনিক ব্লকের মধ্যে ১৩ টি ব্লকের সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। মহিলা এবং শ্রমিক সংগঠনে অবশ্য বেশি রদবদল করা হয়নি। এই দুই শাখা সংগঠনে কয়েকটি ব্লক বাদে অধিকাংশ ব্লকে পুরনো নেতৃত্বরাই সভাপতি পদে রয়েছেন। মূল সংগঠনের নতুন ব্লক সভাপতি হিসেবে যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে ব্লক সভাপতিদের তালিকায় জেলার মন্ত্রী এবং বিধায়কদের পছন্দের নেতৃত্বদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থর সঙ্গে মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দ্বন্দ্ব ছিল সর্বজনবিদিত। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মেটাতেই এমন কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

কারণ, ২০১৯ সালে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক। তাই পঞ্চায়েত ভোট তো বটেই, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসন দখল করতেই এখন থেকেই পদক্ষেপ শুরু করেছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন
Advertisement