Food Department

রেশনে চাল বাড়ন্ত, সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি, মোদী সরকারের 'না', খোলা বাজারের দ্বারস্থ রাজ্য

রাজ্যের খাদ্য দফতরের সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি একটি চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকে। চিঠিতে, রেশনে চালের জোগান বজায় রাখতে কেন্দ্রের কাছে খাদ্যশশ্য চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র না বলেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১৫:১৫
Image of Rice.

এখন থেকে ই-টেন্ডার মারফৎ চাল কিনবে খাদ্য দফতর। — ফাইল চিত্র।

রেশনে চালের জোগান বজায় রাখতে খোলা বাজার থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিল খাদ্য দফতর। তবে এই কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ই-টেন্ডার মারফৎ চাল কিনবে তারা। ৯ জুন রাজ্য খাদ্য দফতরের সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি একটি চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকে। সেখানেই জানানো হয়, রেশনে চালের জোগান বজায় রাখতে যেন কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে খাদ্যশশ্য দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যকে গম দেওয়ার আবেদন জানানো হয় চিঠিতে। যদি কোনও কারণে গম দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা সচল রাখতে যেন চাল দেওয়া হয়। ৮০ হাজার মেট্রিক টন গম চেয়ে আবেদন জানানো হয়।

Advertisement
Image of Goverment notice.

চাল কেনা সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি। — নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্র এই বরাদ্দ দিলে ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানানো হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, খাদ্য মন্ত্রক রাজ্যকে জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে এই মুহূর্তে চাল দেওয়া সম্ভব নয়। সঙ্গে রাজ্যকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে, পশ্চিমবঙ্গ চাল উৎপাদনে সারা দেশের মধ্যে প্রথম। এমন চিঠি পাওয়ার পরেই ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগ শুরু করেন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরা। দফায় দফায় বৈঠক করে ঠিক হয়, খোলা বাজার থেকে চাল কিনে এই ঘাটতি মেটানো হবে।

২২ জুন খাদ্য দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, খোলা বাজার থেকে চাল কেনা হবে। এই পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা রাখার জন্য ই-টেন্ডারের ব্যবস্থা করা হবে। সঙ্গে ৭ সদস্যের একটি কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খাদ্য দফতরের এমন সিদ্ধান্তে খুশি নয় রাজ্যের রেশন ডিলারদের একাংশ। তাঁদের কথায়, প্রতি বছর রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কেনে। কিন্তু এ বছর চাল কেনার ক্ষেত্রে কত সংখ্যায় রেশন কার্ড রাজ্যের মানুষ ব্যবহার করেন, তার সঠিক তথ্যও খাদ্য দফতরের কাছে ছিল। কিন্তু তারা সেই সব বিষয়গুলি নজরে না রাখায় রেশন দোকানে চাল বাড়ন্ত হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘যে পদ্ধতিতে বাড়তি চাল কেনা হচ্ছে তা আমরা সঠিক বলে মনে করি না। এ ক্ষেত্রে একটু বেশি দাম দিয়ে রাজ্যের কৃষকদের হাতে থাকা চাল কিনলেই বাজারের সামঞ্জস্যতা বজায় থাকত। কিন্তু টেন্ডার পদ্ধতিতে বিষয়টি হওয়ায়, তা জটিল হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতির জন্য খাদ্য দফতর তার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement