শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমেন মহাপাত্র। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠদের ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল। শনিবার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্রীধর মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একটা সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ট্রাস্টের কাজকর্ম দেখতেন শুভেন্দু। পরে সেই দায়িত্ব পান তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দায়িত্ব পেলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় ট্রাস্টের এক বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে শ্রীধরকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, নতুন কমিটি না গঠিত হওয়া পর্যন্ত ট্রাস্টের কাজকর্ম দেখবে একই নবগঠিত উপদেষ্টা কমিটি। ওই কমিটিতে মন্ত্রী সৌমেন ছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, পাশকুঁড়া পূর্বের বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী, মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। এ ছাড়া তৃণমূলের কয়েকজন জেলাস্তরের নেতাও রয়েছেন উপদেষ্টা কমিটিতে। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে সৌমেন বলেন, ‘‘আপাতত ১৫ দিনের জন্য আমরা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করব। তার পরে ট্রাস্ট নিজেই তাঁদের কমিটি গড়বে।’’
শুভেন্দু ও রাজীবকে কলকাতাতেও সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। ২০১৯ সালেই ধর্মতলায় প্রকাশ্য সমাবেশে তাঁরা বক্তৃতাও করেছেন। এখন তাঁরা দু’জনেই বিজেপি-তে। এখন তাই তাঁদের ঘনিষ্ঠদেরও এই ট্রাস্ট থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুরুতেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শ্রীধরকে। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনে সংগঠনে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আর কে কে রয়েছেন তা চিহ্নিত করে সরিয়ে দেওয়া হবে। যদিও সৌমেন জানিয়েছেন, ট্রাস্টের সদস্যরা চাইলে তবেই সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা কমিটিতে থাকবেন। তবে যাই করা হোক তা দলের অনুমতি নিয়েই হবে।