তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বড় সাংগঠনিক সমাবেশে আজ বৃহস্পতিবার দলকে বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মে মাসে নজরুল মঞ্চে এইরকম একটি সমাবেশ ডেকেছিলেন। আজ ‘বিশেষ অধিবেশন’ নেতাজি ইন্ডোরে।
যে পরিস্থিতিতে এই সভা ডাকা হয়েছে নানা দিক থেকে তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নজরুল মঞ্চের সভায় মমতা দলের পুরনো নেতাদের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছিলেন। এ বারের বৈঠকের আবহে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নতুন তৃণমূল’ গড়ার ঘোষণা। দলের সাংগঠনিক রদবদলে ইতিমধ্যেই নতুন নেতৃত্বকে তুলে আনার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। অভিষেক এ কথাও বলে দিয়েছেন, ২০১১ সালের মতো নিঃস্বার্থ তৃণমূল তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে মমতা নতুন ও পুরনোর মধ্যে ‘ভারসাম্য’ রক্ষার কোনও সূত্র দেন কি না, দলের মধ্যে সেই চর্চাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। মমতার পাশাপাশি অভিষেকও এ দিনের বক্তা হিসাবে রয়েছেন।
এ দিনের বৈঠকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। অভিষেক এখন নিয়মিত দলকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ রাখার উপরে জোর দেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনও ‘স্বচ্ছ ভাবে’ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলের একের পর এক মন্ত্রী, নেতা, জনপ্রতিনিধির হেফাজত থেকে লক্ষ- কোটি টাকা ও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে। এর ফলেই দলের ‘ভাবমূর্তি’ নিয়ে সাধারণ মানুষও একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল ( কেষ্ট) জেলে। যার ধাক্কা তৃণমূলকে সইতে হচ্ছে। যদিও মমতা নিজে পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রতের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কী করেছে কেষ্ট? দলের ভিতরে ও বাইরে এ সব নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিস্তর।
এমন এক সময় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী কী বলেন, দল এবং জনগণের কাছে আদতে কী বার্তা পৌঁছয়, পযর্বেক্ষক মহলে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে যথেষ্ট।