প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে নতুন সংগঠন গড়বে তৃণমূল। আলুর দাম বৃদ্ধির পরিস্থিতি দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ওই সংগঠন গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনে তৃণমূলের নেতারা থাকলেও, সেখানে বেশি প্রভাব রয়েছে বাম ও বিজেপির। তারাই একটা ‘অচলাবস্থা’ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে তৃণমূলের দাবি। সে কারণেই আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলাদা ভাবে সংগঠন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটাই তাদের কৌশল।
মঙ্গলবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলুর দাম নিয়েও আলোচনা হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠিন পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ুক এটা চায় না সরকার।’’ আলু ব্যবসায়ী সমিতির ধর্মঘট নিয়ে তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই আলুর দাম কমতে শুরু করেছিল। তবে ভিন্রাজ্যে আলু পাঠানোর ট্রাক সীমানায় আটকে দেওয়ার অভিযোগে রবিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। আলুর দাম বেড়েছে বাজারেও। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি অভিযোগ, বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে কোনও রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে কর্মবিরতি চলছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীর পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি উত্তম পাল এ প্রসঙ্গে জানান, সরকার তাঁদের দাবি না মানলে ব্যবসায় কর্মবিরতি চলবে।
সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন। ২০১৪ সালে এ রকম হয়েছিল। ভিন্রাজ্যে আলু যাওয়া আটকানো হয়েছিল। তবে এ বার নির্দেশ নেই। কিন্তু পুলিশি হয়রানি হচ্ছে রাজ্যের সীমান্তগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী বাইরে পাঠাতে বারণ করেননি। উনি নজরদারি করতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ের পর থেকে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। নিয়ন্ত্রণে থাকার পরেও যদি বাইরে আলু যাওয়া আটকানো হয়, তা হলে ব্যবসা করব কী করে।’’