West Bengal By-Election 2024

উপনির্বাচনের আগে শাহের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

তৃণমূলের বক্তব্য, ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। যে জেলার দু’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন, সেই উত্তর ২৪ পরগনায় সরকারি কর্মসূচিতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন শাহ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০১
অমিত শাহ।

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ছয় কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দুই কেন্দ্র হাড়োয়া এবং নৈহাটি। তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন শাহ।

Advertisement

রবিবার ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং‌ মৈত্রী দ্বারের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তৃণমূলের বক্তব্য, গত ১৫ অক্টোবর ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি (মডেল কোড অফ কনডাক্ট বা এমসিসি) কার্যকর হয়ে গিয়েছে। যে জেলার দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন, সেই জেলায় দাঁড়িয়ে শাহ কী ভাবে সরকারি কর্মসূচি করলেন এবং বিভিন্ন সরকারি পরিকাঠামোর উদ্বোধন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।

এই বিষয়ে কমিশনের নিয়ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূল জানিয়েছে, মন্ত্রীরা এই সময় সরকারি সফর করতে পারেন না, নির্বাচনী কাজে প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারেন না। এমনকি সরকারি গাড়ি কিংবা বিমানও ব্যবহার করতে পারেন। এই সংক্রান্ত নিয়মগুলি ভঙ্গ করার পাশাপাশি সরকারি কর্মসূচি থেকে শাহ রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন বলেও দাবি করেছে তৃণমূল।

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে কমিশনের কাছে শাহকে শো-কজ় করার আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। এর পাশাপাশি কোনও বিজেপি নেতা যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটান, সেই বিষয়েও কমিশনকে সজাগ থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার পেট্রাপোলের সরকারি মঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেছিলেন, “গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে অনেক কাজ করেছেন। বাংলার মানুষের কিছু খেদ আছে। কিন্তু চিন্তা নেই, ২০২৬ সালের নির্বাচনের পর সেই খেদ মিটিয়ে দেবে বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ মোদীর নেতৃত্বে খুব ভাল কাজ করছে। গোটা এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। আমাকে শান্তনু ঠাকুর জানালেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পাঁচ-ছ’হাজার মানুষ প্রতি দিন কল্যাণী এমসে চিকিৎসার জন্য আসেন। ২০২৬ সালে আপনারা পরিবর্তন এনে দিন রাজ্যে। বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। উন্নয়নই মোদী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।’’

আরও পড়ুন
Advertisement