Kona Expressway

ছ’লেনের উঁচু উড়াল-পথ তৈরি হবে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে

হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়তি যানবাহনের চাপ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই এলিভেটেড করিডর তৈরির কথা চলছিল। শেষমেশ গত বছর এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০৫:৪৩
An image of Kona Expressway

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ছয় লেনের ‘এলিভেটেড করিডর’ তৈরির কাজ। —ফাইল চিত্র।

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হচ্ছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ছয় লেনের ‘এলিভেটেড করিডর’ তৈরির কাজ। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন হাওড়া সিটি পুলিশ, পূর্ত দফতর ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কর্তারা। পরে তাঁরা একটি বৈঠকেও বসেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাস্তার দু’পাশ থেকে চিহ্নিত করা ২৫০ জন দখলদারকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ভেঙে দেওয়া হবে বেআইনি বাড়ি ও দোকান।

Advertisement

হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়তি যানবাহনের চাপ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই এলিভেটেড করিডর তৈরির কথা চলছিল। শেষমেশ গত বছর এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে রেলের অনুমতি পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিলেও পরবর্তী কালে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সাঁতরাগাছি সেতুর উপর দিয়ে এই উড়াল-পথ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আর আপত্তি জানায়নি। রাজ্য পূর্ত দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘এলিভেটেড করিডরটি শুরু হবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ক্যারি রোডের মোড়ের পরে ফুটবল গেট থেকে। সেটি শেষ হবে খেজুরতলায়। যে হেতু এই উড়াল-পথটি তিনটি সেতুর উপর দিয়ে যাবে, তাই এর উচ্চতাও হবে অনেক বেশি।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুটবল গেটের দিক থেকে ওঠার পরে সাত কিলোমিটার লম্বা উড়াল-পথটি নামবে খেজুরতলার কাছে। তবে, সেখানে নামার আগে উড়াল-পথের তিনটি র‌্যাম্প বেরোবে। একটি হবে সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে নামার আগে, বাকি দু’টি নিবড়া ও জাতীয় সড়কের দিকে যেতে। কাজ শেষ করার জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে যানজট এড়াতে মালবাহী গাড়ির পথ পরিবর্তন করা হবে। প্রয়োজনে ছোট যাত্রিবাহী গাড়িও অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, মালবাহী লরি এবং ট্রাক ড্রেনেজ ক্যানাল রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।

পূর্ত দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব দখলদার সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। ওই দখলদারদের আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ দখলদারই উঠে গিয়েছেন বলে খবর। বাকিদেরও সরিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement