বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর রীতি মেনে সাদা পোশাক না পরায় শনিবার বার্ষিক শিল্পোৎসবের মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয়নি প্রধান অতিথিকে। সেই ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত নিয়ে রবিবার দিনভর চর্চা চলল সমাজমাধ্যমে। শনিবার শ্রীনিকেতনে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয় বিশিষ্ট শিল্পী তথা শিল্পসদনের বোর্ড অফ স্টাডিজ়ের সদস্য অরুণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি নীল পাঞ্জাবি পরে আসায় মঞ্চের পরিবর্তে সাধারণ আসনে প্রধান অতিথিকে বরণ করা হয়। এ নিয়ে কর্মীমণ্ডলী ও শ্রীনিকেতন কর্মী সঙ্ঘের সদস্যদের ভর্ৎসনা করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, “অরুণেন্দুবাবু হয়তো পোশাক বিধির বিষয়ে জানতেন না। তোমাদের প্রধান অতিথিকে সাদা পোশাক পরার কথা বলা উচিত ছিল। ঐতিহ্য রক্ষা না করলে সবাই আমাকে দোষারোপ করে। এখানে আমি প্রধান অতিথির কোনও দোষ দেখছি না।”
এ নিয়ে কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মী, পড়ুয়া ও আশ্রমিকেরা। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের স্পেশাল অফিসার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্যকে সমর্থন করে রবিবার ফেসবুকে লেখেন, ‘‘সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে বিশ্বভারতীতে সমস্ত অনুষ্ঠানে সাদা পোশাক পরে যাওয়ার নির্দিষ্ট রীতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উপাচার্য মশাই যে তাঁকে অনুষ্ঠান মঞ্চে ওঠা থেকে বিরত করেছেন এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।’’ এর বিরোধিতা করে ওই পোস্টেই সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের মন্তব্য, ‘‘স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও স্তম্ভিত হতেন একবিংশ শতাব্দীতে তাঁর গড়ে তোলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন কঠোর পোশাক নীতি দেখে।’’ অনেকে অতিথিকে অসম্মানের অভিযোগও তুলেছেন। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরবর্তীতে এই ধরনের অনুষ্ঠানে এমন বিভ্রান্তি যাতে না হয় সে ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।”