মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলায় স্পিকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। ফাইল চিত্র
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এমনই বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন মুকুল। এর পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এর পর মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার সময় থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি নিয়ে আদালতে যায় বিজেপি।
পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগ ‘অবৈধ’, এই অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিল বিজেপি। প্রথম থেকেই আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মুকুলের দলত্যাগের বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু বিধানসভার বিষয়ে স্পিকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা যায় না, এই যুক্তি নিয়ে স্পিকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করা হয়।
গত ১৩ নভেম্বর এই প্রেক্ষিতে স্পিকার বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিধানসভার শুনানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলে তার পরে ২২ ডিসেম্বর শুনানি হতে পারে বলে স্পিকারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল। সোমবার সেই রায় জানার পরে স্পিকার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আদালতের রায় মেনেই কাজ হবে। এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে আমাদের কোনও অনীহা নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদক্ষেপ করব।’’
মামলা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, আইনি আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্পিকার। ফলে, এর পরে আদালতেই যা ফয়সালা হওয়ার, হবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জানার পরে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি শুভেন্দু। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ জানুয়ারি।