Sandeshkhali Case

মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের, মিলল অনুমতি

সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ এত দিন এক খাতে বইছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে ফাঁস হওয়া জোড়া গোপন ক্যামেরা অভিযানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। দু’টি ভিডিয়োরই সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ১৪:০৭
Supreme Court accepted the petition of a group of Sandeshkhali women

সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের মামলা যুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালির মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সেখানকারই মহিলাদের একাংশ। মঙ্গলবার সেই আর্জি গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ মূল মামলার সঙ্গে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের মামলা যুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী জুলাই মাসে সন্দেশখালির মামলার শুনানি রয়েছে। তখনই এই আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। যদিও মঙ্গলবার পৃথক একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি হতে পারে।

Advertisement

সেখানকার মহিলাদের একাংশের বক্তব্য, সমগ্র ঘটনার নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্ত হোক। সেই আর্জি গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যাকে ‘উল্লেখযোগ্য’ বলে মনে করছে শাসকদল তৃণমূলও।

সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ এত দিন এক খাতে বইছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে ফাঁস হওয়া জোড়া গোপন ক্যামেরা অভিযানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। যে অভিযানে সন্দেশখালির এক বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের বিস্তারিত বক্তব্য শোনা গিয়েছে। যদিও সেই দু’টি ভিডিয়োরই সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। যে ভিডিয়োগুলির মূল প্রতিপাদ্য, সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলাকে ‘ধর্ষিতা’ সাজানো হয়েছিল।

সেই ভিডিয়ো নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসকদল ময়দানে নেমেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিটি সভা থেকেই বলছেন, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলেছে বিজেপি। অভিষেকের বক্তব্য, বাংলাকে কলঙ্কিত করতেই এ হেন পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। যে ভিডিয়ো নিয়ে এত তোলপাড়, সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামও শোনা গিয়েছে গঙ্গাধরের মুখে। পাল্টা শুভেন্দু দাবি করেছেন, ওই গোপন ক্যামেরা অভিযানের নেপথ্যে সন্দেশখালির পুলিশও যুক্ত। গঙ্গাধর ইতিমধ্যে হাই কোর্টে মামলাও করেছেন। যদিও তাঁর বিবিধ বক্তব্যের ‘অসঙ্গতি’ তুলে ধরে সমাজমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষাপটেই মঙ্গলবার সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের আর্জি গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন