রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গিয়ে পৌঁছয় রাজ্যপালের কনভয়। আগে থেকেই সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই পড়ুয়ারা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও। উল্লেখ্য যে, বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রাজ্যপালের। গত সোমবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন উত্তরবঙ্গ সফরে আসা রাজ্যপাল।
আগেই ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের তরফে জানা যায়, ওই বৈঠক বানচাল করার চেষ্টা চলছে, এই অভিযোগ পেয়ে সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন রাজ্যপাল। সোমবার এনজেপি স্টেশনে নেমে সস্ত্রীক রাজ্যপাল ওঠেন স্টেট গেস্ট হাউসে। সেখান থেকে দুপুরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বলেন, ‘‘বাস্তবে কী চলছে, তাই জানতে এসেছি।’’ বুধবার অবশ্য সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানো গণতান্ত্রিক অধিকার। কেউ গো ব্যাক স্লোগান দিতেই পারেন।”
বস্তুত, উচ্চশিক্ষা দফতর তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া, রাজ্যপাল তথা আচার্য যে সব অস্থায়ী উপাচার্যকে বেছেছিলেন, তাঁদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে বলা হয়েছিল রাজভবনের তরফে। তবে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল শুধু পঞ্চায়েত ভোট নিয়েই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক অভাব-অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। আমার কাছে ‘ফিল্টার’ হয়ে বিভিন্ন তথ্য পৌঁছয়। কাজেই সাধারণ মানুষের কী অভাব-অভিযোগ রয়েছে, তা যেন সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখা হয়।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই তাঁর দার্জিলিং সফর বলে জানান রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র দার্জিলিং নয়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘দার্জিলিং রাজভবনে যদি কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি দেখা করতে চায়, তা হলে তাদের স্বাগত।’’