Sujay Krishna Bhadra

সুজয়কৃষ্ণ ‘আনফিট’! মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালতকে জানালেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর বুকে স্টেন্ট বসানো রয়েছে। সেই রিপোর্ট ইডির হাতেও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪২
SSKM submits medical report of Sujay Krishna Bhadra says he is stil unfit

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিক্যাল রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে জমা দিলেন এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ নন। তিনি ‘আনফিট’। তাঁর আরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে এসএসকেএম।

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর বুকে স্টেন্ট বসানো রয়েছে। সেই রিপোর্ট ইডির হাতেও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের।

গত বছরের অগস্ট মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও তারপর থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে ইডির তরফে একাধিক বার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। এমনকি, তা নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকেও কাঠগড়ায় তুলেছিল ইডি।

মাঝে আদালতের নির্দেশেই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণের বাইপাস সার্জারি হয়। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও কম টালবাহানা হয়নি। অবশেষে গত জানুয়ারিতে আচমকাই একদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার পর অবশ্য ফের এসএসকেএমেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাঁকে।

এর মধ্যেই জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। এ দিন আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (এজি) পর এবার রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দেবাশিস রায়ের ভূমিকার সমালোচনা করেছে আদালত। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, এক সময় অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করার পর পিপি এখন কী ভাবে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন? প্রসঙ্গত, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত। সেই সময় আদালত তাঁকে রাজ্যের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement