TMC MLA Oath

ধূপগুড়ির বিধায়ককে শপথ নেওয়ান বিধানসভায় এসে, রাজ্যপালকে অনুরোধ করে চিঠি স্পিকার বিমানের

৮ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে জয়ের পর থেকেই ঝুলে রয়েছে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে স্পিকার চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫১
C V Anand Bose and Biman Bandopadhyay.

(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিধানসভাতেই হোক ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়কের শপথ। এমনটা জানিয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে জয়ের পর থেকেই ঝুলে রয়েছে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। গত শনিবার রাজভবনেই নির্মলচন্দ্রর শপথগ্রহণ করাতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু শনিবার পরিষদীয় দফতর তাতে সাড়া না দেওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় শপথগ্রহণের সবুজ সংকেত দিয়ে চিঠি পাঠায় রাজভবন। সেখানে বলা হয়, ডেপুটি স্পিকার শপথগ্রহণ করাবেন। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই স্পিকার রাজভবনে পাল্টা চিঠি পাঠান।

Advertisement

রাজ্যপাল চেয়েছিলেন রাজভবনে হোক ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ। সেই মর্মে ফাইলও পাঠিয়েছিলেন তিনি। সচিবালয় সূত্রে খবর, শনিবার নবান্নে পরিষদীয় দফতর বন্ধ থাকায় সেই ফাইলটি ফেরত পাঠানো হয় রাজভবনে। সূত্রের খবর, তফসিলি সম্প্রদায়ের বিধায়ক রাজভবনে শপথ নিলে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে, এমন ভাবনা থেকেই রাজভবনে নির্মলচন্দ্রের শপথ অনুষ্ঠান করাতে চেয়েছিলেন আনন্দ বোস। সঙ্গে রাজভবনের মতো প্রতিষ্ঠানের দরজা যে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের জন্য খোলা, সেই বার্তাও দিতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল, এমনটাই খবর রাজভবন সূত্রে। কিন্তু মঙ্গলবার রাজভবন থেকে পাল্টা পরিষদীয় দফতরকে ফাইল পাঠিয়ে শপথের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় স্পিকার জানান, বিধানসভায় যে হেতু সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির উপস্থিতি রয়েছে তাই ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ বিধানসভাতেই হওয়া ভাল। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে বিধায়ককে শপথ গ্রহণ করান। চিঠিতে স্পিকার লিখেছেন, ‘‘বিধানসভার গরিমার কথা মাথায় রেখেই আপনি বিধানসভায় এসে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান।’’

প্রসঙ্গত, বিধায়ককে রাজ্যপালের শপথ বাক্য পাঠ করানোর ঘটনা এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ইতিহাসে রয়েছে। জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় পরে বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন ধনখড়। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর শপথ। স্পিকারের চিঠির জবাবে রাজভবন জবাবে কী জানায়, কার উপরেই নির্ভর করছে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ।

আরও পড়ুন
Advertisement