ISF-TMC Conflict In Bhangar

আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে ফের রণক্ষেত্র ভাঙড়, গুলি চালানোর অভিযোগ দু’পক্ষেরই

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় কৃষ্ণমাটি এলাকায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আইএসএফ ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী এসে সেই কাজে বাধা দেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪৭
An image of Police

সংঘর্ষের পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগানোকে কেন্দ্র করে ফের তাদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। মারামারির ওই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। উভয় পক্ষই পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে। যদিও পুলিশ গুলি চলার অভিযোগ মানতে চায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ডিভিশনের পোলেরহাট থানার কৃষ্ণমাটি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় কৃষ্ণমাটি এলাকায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আইএসএফ ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী এসে সেই কাজে বাধা দেন। আইএসএফ কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি বেধে যায়, যা গড়ায় মারামারিতে। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জখম হন। যদিও তৃণমূলের দাবি, এক ট্রাকচালক কৃষ্ণমাটি এলাকা দিয়ে ট্রাক নিয়ে আসছিলেন। সেই সময়ে আইএসএফ কর্মীরা তাঁর ট্রাকেও পোস্টার লাগানোর চেষ্টা করেন। ওই ট্রাকচালক নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ করলে আইএসএফ কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন। যদিও আইএসএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খবর পেয়েই উত্তর কাশীপুর ও পোলেরহাট থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারা দু’পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে হটিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে আইএসএফের ভাঙড়-২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই ওরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। আসলে আমরা মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। সেই কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমাদের কর্মসূচি ভেস্তে দিতে দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছে ওরা। আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে ওরা গুলি চালিয়েছে, এমনকি, মারধরও করেছে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত বছর প্রতিষ্ঠা দিবসের নামে ওরা ভাঙড়কে অশান্ত করে তুলেছিল। নওসাদের নেতৃত্বে আবারও ওরা ভাঙড়কে অশান্ত করতে চাইছে। পোস্টার মারার নামে আমাদের কর্মীদের মারধর করছে, গুলি চালাচ্ছে। আমরা পুলিশকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। কোনও ভাবেই আমরা এলাকায় গুন্ডামি, মস্তানি বরদাস্ত করব না।’’

এ দিকে, শুক্রবারও একই কারণে সংঘর্ষ বেধেছিল আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে। সেই ঘটনায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই তৃণমূল কর্মীর হাতে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছিল আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ তিন জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ভোরে তাঁদের ধরা হয় ভাঙড় থানার খড়গাছি এলাকা থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নজরুল মোল্লা, রাকিবুল মোল্লা ও হাফিজুল মোল্লা। সকলেরই বাড়ি ভাঙড়ের খড়গাছি মধ্যপাড়া এলাকায়।

আরও পড়ুন
Advertisement