বিকাশ ভবনের সামেন বিক্ষোভ এসএফআই সমর্থকদের। —নিজস্ব চিত্র।
বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের বিকাশ ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তি সল্টলেকে। বিকাশ ভবনের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই এসএফআই সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে পুলিশের। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করা হয় বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের পরে চ্যাংদোলা করে প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হয়।
স্কুলছুটদের ক্লাসে ফেরানো, প্রাথমিক-সহ সমস্ত স্কুলে ছাত্র এবং শিকক্ষদের সঠিক অনুপাত বজায় রাখা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোমবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই করুণাময়ীর সামনে জড়ো হতে শুরু করেন এসএফআই সমর্থকেরা। পরে তাঁরা মিছিল করে বিকাশ ভবনের সামনে যান। সেখানেই তাঁদের আটকাতে তৈরি ছিল পুলিশও। বিকাশ ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে, টপকে বিকাশ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ বাধা দেয়। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। অভিযোগ, জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ।
তবে এসএফআইয়ের কয়েক জন সমর্থক অন্য পথে আগে থেকেই বিকাশ ভবনের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্য ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। পুলিশ যখন বিকাশ ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে এসএফআইয়ের মিছিল আটকাতে ব্যস্ত, তখন ভিতর থেকে দেবাঞ্জনেরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিকাশ ভবনের বাইরে চলে আসেন তাঁরা। পুলিশ সকলকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মহিলা সমর্থকদের গায়ে হাত দিয়েছে পুলিশ। জোর করে তাঁদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হটানোর চেষ্টা করে। পরে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও পুলিশ দাবি, অনুমতি ছাড়াই এসএফআই সোমবারের কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল।