Sanjay Roy Punishment

‘বদনাম হয়ে গেলাম’! শাস্তি শুনে প্রথমে নির্লিপ্ত থেকেও বিড়বিড় করে বললেন কাঁদো কাঁদো সঞ্জয় রায়

দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পর কাঁদো কাঁদো মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন সঞ্জয়। তার পর এজলাস ছাড়ার সময় বিড়বিড়় করে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে।

Advertisement
সারমিন বেগম
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৭
আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়।

আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। —ফাইল চিত্র

চুলদাড়ি পুরো কামানো। জ্যাকেটের ভিতর থেকে উঁকি মারছে বেগনি রঙের সোয়েটার। শাস্তি ঘোষণার দিনও শিয়ালদহ কোর্টে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। তবে দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ বিচারক আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পর সেই নির্লিপ্তি দেখা যায়নি সঞ্জয়ের মধ্যে। কাঁদো কাঁদো মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। তার পর এজলাস ছাড়ার সময় বিড়বিড় করে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে।

Advertisement

এজলাস থেকে বেরোনোর সময় সঞ্জয়ের আইনজীবীরা তাঁকে জানান, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুনে সঞ্জয় বলেন, “বদনাম হয়ে গেলাম।”

সোমবার সকালে শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর কক্ষে ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সঞ্জয়। বিচারক বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি খুন বা অন্য কাজ কিছুই করিনি। আমি কোনওটাই করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি আগের দিনও বলেছি। যেটা আমি শুনেছি, এত (প্রমাণ) কিছু নষ্ট হয়েছে। আমি জানতাম না। আগের দিনই বলেছিলাম, আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। সেটা নষ্ট হয়নি। আমি নির্দোষ। আপনাকে আগেও বলেছি যে কী ভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে, যার যা ইচ্ছে করেছে। অত্যাচার করা হয়েছে, সাইন (সই) করানো হয়েছে। যেখানে বলেছে সাইন (সই) করেছি।”

আদালতে বাকি সময় সঞ্জয়ের হয়ে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। সওয়াল-জবাব চলার সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দু’হাত সামনে ঝুলিয়ে রেখে সামনের দিকে তাকিয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার আরজি কর মামলার রায় শুনে কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন সঞ্জয়। সে দিন রাতে কিছু খাননি তিনি। তবে রবিবার সকাল থেকে তাঁর আচরণে তেমন পরিবর্তন চোখে পড়েনি। জেলে ‘স্বাভাবিক’ থেকেছেন সঞ্জয়। ক্যারমও খেলেছেন অন্যদের সঙ্গে।

Advertisement
আরও পড়ুন