Samagra Sikkha

অ্যাপ নয়, ওয়েবসাইটেই তথ্য আপলোড হবে সমগ্র শিক্ষা মিশনের! রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের

স্কুলশিক্ষার বাইরে রয়েছে কত জন, তা জানতে গত বছর উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। গত অক্টোবরে এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:০০
অ্যাপে নয় ওয়েবসাইটে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তথ্য় চায় কলকাতা হাই কোর্ট।

অ্যাপে নয় ওয়েবসাইটে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তথ্য় চায় কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

অ্যাপের পরিবর্তে সরকারি ওয়েবসাইটে রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা মিশনের তথ্য আপলোড করার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পের তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করার সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘এ বার কি ‘দুয়ারে মোবাইল’ প্রকল্প চালু করতে হবে?’’

এই মামলায় বুধবার রাজ্যকে বিচারপতি বসুর স্পষ্ট নির্দেশ— অ্যাপের পরিবর্তে ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড করার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং এটা যাতে সম্ভব হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর সমগ্র শিক্ষা মিশনের আওতায় ‘বাংলার শিক্ষা’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়াশোনার হাল খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের উপর। আর সে সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দিত হয় সমগ্র শিক্ষা মিশনের শিক্ষকদের।

মামলাকারী দীপ্তাংশু বিশ্বনাথ দাসের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের দাবি, আগে এই সব তথ্য অফলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। গত বছর থেকে তা চাইল্ড রেজিস্টার অ্যাপের মাধ্যমে হয়ে যায়। কিন্তু অনেকের কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকার কারণে এই কাজ করা যাচ্ছে না। এই যুক্তি শুনে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘অনেক প্রকল্পই তো আছে। এ বার কি তা হলে দুয়ারে মোবাইল প্রকল্প নিয়ে আসতে বলব সরকারকে?’’

শুনানিপর্বে সুদীপ্ত জানান, তাঁর মক্কেলের বেতন মাত্র ১২ হাজার টাকা। তাই দামি মোবাইল কেনার ক্ষমতা তাঁর নেই। তা ছাড়া ৫১ বছর বয়সে তিনি এই সব তথ্য আপলোড করতে স্বচ্ছন্দ নন। যদিও সেই যুক্তিতে সায় না দিয়ে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে নিজেকে উন্নীত করা প্রয়োজন। যাই হোক, রাজ্যকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হবে।’’ বিচারপতি বসু জানান, এমন সমস্যায় অনেক শিক্ষকই পড়তে পারেন। তাই এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা যায়, পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য তা জানাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement