Hooghly TMC

হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি ‘তৃতীয় নাম’ রঞ্জন ধারা, ক্ষোভ দলের অন্দরেই

হুগলি জেলার তৃণমূলের সভাপতির পদে কে বসবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। দৌড়ে ছিলেন মানস মজুমদার এবং অসীম মাঝি। পরে আচমকা উঠে আসে তৃতীয় নাম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৪
ranjan dhara.

রঞ্জন ধারা। —নিজস্ব চিত্র।

হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। মূলত, দু'টি নাম নিয়ে আলোচনা ছিল জেলা তৃণমূলের অন্দরে। এক, গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার। দুই, বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি। কিন্তু মঙ্গলবার আচমকাই তৃতীয় নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয় হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্দরে। পোলবা-দাসপুর ব্লক থেকে জেতা রঞ্জন ধারাকে নিয়ে। বুধবার ছিল হুগলি জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন। শেষ পর্যন্ত হুগলি জেলা পরিষদের সভাপতি হলেন ‘তৃতীয়’ রঞ্জনই। সহ-সভাধিপতি হয়েছেন আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের একটা বড় অংশ রঞ্জনকে জেলা সভাপতি হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, রঞ্জনের জীবনযাপন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তা ছাড়া, তাঁর কোনও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও নেই।

জেলার রাজনীতিতে ওয়াকিবহাল অনেকের মতে, প্রাথমিক ভাবে যে দু'টি নাম ভেসে উঠেছিল, সেই মানস এবং অসীমের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা জেলায় সবাই জানেন। হতে পারে, সেই কারণেই তৃতীয় নাম রঞ্জনকে সভাধিপতি করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের অনেকেই কৌতূহলী, জেলা পরিষদ কী ভাবে চলে সেটা দেখার বিষয়ে। কারণ, রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে বাম আমল থেকেই হুগলিতে নানা কারণে সভাধিপতি বদলের রেওয়াজ রয়েছে। বাম জমানার শেষ পর্বে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ জেলা পরিষদের সভাধিপতি অসিত পাত্রকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল হুগলি সিপিএম। বদলে সভাধিপতি করা হয়েছিল পাণ্ডুয়ার নেতা প্রদীপ সাহাকে। সেই সব ঘটনা স্মরণ করেই অনেকে বলছেন, রঞ্জন কত দিন নিজপদে বহাল থাকেন, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন
Advertisement