Ramkrishna Math

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রয়াত, বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৭
image of maharaj

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। —ফাইল চিত্র।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রয়াত। মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ৮টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

Advertisement

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। গত ২৯ জানুয়ারি মুত্রনালিতে সংক্রমণের কারণে তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালের সাত তলার ৫০ নম্বর কেবিনে। ক্রমে সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হন স্বামী স্মরণানন্দ। শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। ৩ মার্চ আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ ছোট অস্ত্রোপচার করে কৃত্রিম ভাবে শ্বাসকার্যের জন্য একটি নল ঢোকানো হয় তাঁর শ্বাসনালিতে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিডনিতেও সমস্যা হয়েছিল তাঁর।

সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁকে দেখে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দেখে যান তাঁকে।

২০২২ সালের মার্চ মাসেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। সে সময় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। বেশ কয়েক দিন চিকিৎসা চলার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আবার আগের মতোই কাজকর্ম করছিলেন। কিন্তু জানুয়ারি মাসে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

১৯২৯-এ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ। খুব কম বয়সে মাকে হারান। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৪৯-এ মুম্বই পাড়ি দেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ১৯৫২ সালে, ২২ বছর বয়সে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন তিনি।

১৯৫৮-তে ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর কলকাতা শাখায় আসেন। দীর্ঘ ১৮ বছর কাজ করেছেন ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর বিভিন্ন শাখায়। বিবেকানন্দ প্রবর্তিত ইংরেজি পত্রিকা ‘প্রবুদ্ধ ভারত’-এর প্রবন্ধক সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন কয়েক বছর। প্রায় ১৫ বছর ‘রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ’-এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩-তে রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন। ১৯৯১-এ চেন্নাই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement