রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
সুস্থ আছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার রাজভবনের তরফে এমনই জানানো হল। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যপালের কী হয়েছিল, তা-ও জানানো হয়েছে।
রাজভবনের তরফে জানানো হয়, কয়েক দিন ঘোরাঘুরির কারণে রাজ্যপালের কাঁধে হালকা ব্যথা হয়েছিল। সেই কারণে নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষার (রুটিন চেকআপ) জন্য তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বর্তমানে তাঁর ব্যথা কমে গিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি, এক দিন রাজ্যপালকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
সোমবার সকালেই শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন রাজ্যপাল। তার পরই চিকিৎসক এসে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। জানা যায়, চিকিৎসকের পরামর্শেই রাজ্যপালকে কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সূত্রের খবর, হাসপাতালে চিকিৎসকেরা নানা রকম শারীরিক পরীক্ষা করান রাজ্যপালের। প্রথমে অনেকেই দাবি করেন, চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রাজ্যপালের একাধিক ‘হার্ট ব্লকেজ’-এর কথা জানতে পারেন। এমনকি তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করাও হতে পারে। তবে বিকেলে রাজভবন সেই দাবি নস্যাৎ করে জানায়, বুকে নয়, কাঁধে সামান্য ব্যথা অনুভব করেছিলেন রাজ্যপাল। তবে এখন তিনি সুস্থই আছেন।
শালবনিতে যাওয়ার আগে কমান্ড হাসপাতালে রাজ্যপালকে দেখে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে দেখতে এসেছিলাম। ওঁকে হঠাৎ করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শরীরটা খারাপ। দেখে এলাম।’’ অন্য দিকে, রাজভবনের ওএসডির থেকে রাজ্যপালের খবরাখবর নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে ওই জেলার বিস্তীর্ণ অংশে অশান্তি দানা বেঁধেছিল। তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে। অশান্তি পরবর্তী পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বোস। তিনি শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে মালদহের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ছ’ঘণ্টার ট্রেনযাত্রার পর মালদহে পৌঁছোন রাজ্যপাল। সেখান থেকে পরের দিন মুর্শিদাবাদে যান। শমসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের মতো উপদ্রুত এলাকাগুলি নিজে ঘুরে দেখেছিলেন রাজ্যপাল। দেখা করেছিলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গেও। সেখানকার মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে সব রকম সাহায্য এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন রাজ্যপাল। এই ঘোরাঘুরির কারণেই রাজ্যপাল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানানো হল রাজভবনের তরফে।