Mamata Banerjee Rahul Gandhi

মমতাকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল, কী নিয়ে কথা হল দু’জনের? নিজেই জানালেন দিদি

তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সকলের সময় নিয়ে শীঘ্রই ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হবে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার লালুপ্রসাদ যাদব জানিয়েছিলেন, ১৭ ডিসেম্বর হবে জোটের পরবর্তী বৈঠক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯
Mamata Banerjee Rahul Gandhi

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার রাতে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার উত্তরবঙ্গ রওনা হওয়ার আগে সে কথা জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘গত পরশু দিন (সোমবার) রাহুলজি আমায় ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে বললাম, আমাকে তো বৈঠকের বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি আগে থেকে। আমি কিছু জানতামই না।’’

Advertisement

মমতা এ-ও জানান, হঠাৎ করে বৈঠক ডাকলে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমারও উত্তরবঙ্গে কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীও কর্মসূচির কারণেই অপারগতার কথা জানিয়েছেন।’’ পাশাপাশি তামিলনাড়ুর প্লাবন পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন মমতা। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম নেতা। মমতা বলেন, ‘‘কোথাও বিপর্যয় ঘটলে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারেন না। কারণ তাঁকে থেকে সবটা দেখতে হয়।’’

গত রবিবার চার রাজ্যের ভোটগণনা চলাকালীনই সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের ফোন করে জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে জোটের পরবর্তী বৈঠক হবে। কিন্তু, তৃণমূল সূত্রে সে দিন রাতে বলা হয়েছিল, মমতার কাছে কোনও ফোন আসেনি। সোমবার মমতা গিয়েছিলেন রাজভবনে। সন্ধ্যার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর সময় তিনি বলেছিলেন, তাঁর কাছে কোনও ফোন আসেনি। তিনি বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানেন না। বুধবার মমতার কথা শুনে অনেকে মনে করছেন, সোমবার তিনি রাজভবন থেকে ফেরার পর রাতের দিকে রাহুলের ফোন এসেছিল সম্ভবত।

তবে তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সকলের সময় নিয়ে শীঘ্রই ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হবে। কবে হবে, ঠিক করে নেওয়া হবে তার দিনক্ষণও। অন্য দিকে, মঙ্গলবার আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব জানিয়েছিলেন, ১৭ ডিসেম্বর হবে ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠক। তবে মমতাকে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের ব্যাপারে রাহুলের ফোন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে। বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণের জন্যও তা অর্থবহ কি না সেই কৌতূহলও তৈরি হয়েছে। গত অগস্টে দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর মমতাকে তাঁর ফোন। গোটাটাকে অনেকেই জুড়ে দেখতে চাইছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবারই এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বুধবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক হচ্ছে না। মঙ্গলবার রাতে জানা যায়, খড়্গে বৈঠকে ডেকেছেন ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলির সংসদীয় নেতাদের। বুধবার জানা যাচ্ছে, খড়্গে তাঁর বাসভবনে নৈশভোজে ডেকেছেন। সেখানে আনুষ্ঠানিক কোনও বৈঠক না হলেও সংসদে ‘বিরোধী ঐক্য’-এর বিষয়ে ঘরোয়া আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement