Padma Awards 2024

বোলপুরের নকশি কাঁথা শিল্পী তাকদিরা পাচ্ছেন পদ্মশ্রী সম্মান, বীরভূমে পদ্মপ্রাপক এ বার দু’জন

বোলপুরের জামবুনির মাদ্রাসাপল্লির বাসিন্দা তাকদিরা প্রায় বছর ৩০ ধরে কাঁথা স্টিচের কাজ করছেন। সেলাইয়ের কাজ শিখেছিলেন স্কুলে পড়ার সময়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৫
Takdira Begum

পদ্ম সম্মান পেয়ে আপ্লুত তাকদিরা বেগম। —নিজস্ব চিত্র।

শুধু লোকগান শিল্পী রতন কাহার নন, বীরভূম জেলার আরও এক বাসিন্দা রয়েছেন এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায়। কেন্দ্রে পদ্মসম্মান পেতে চলেছেন বোলপুরের জামবুনির বাসিন্দা তাকদিরা বেগম। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে থেকে ফোন পান নকশি কাঁথাশিল্পী। তার পর থেকে উচ্ছ্বসিত তিনি।

Advertisement

বোলপুরের জামবুনির মাদ্রাসাপল্লির বাসিন্দা তাকদিরা প্রায় বছর ৩০ ধরে কাঁথা স্টিচের কাজ করছেন। সেলাইয়ের কাজ শিখেছিলেন স্কুলে পড়ার সময়। সেই সেলাই-ফোঁড়াই এখন তাঁর রুজিরুটি এবং শখও বটে। তাকদিরার কথায়, ‘‘আমি বসে থাকতে পারি না। কাজ করতে ভালবাসি। কেন্দ্র যে আমায় পুরস্কৃত করছে, তাতে আমি আপ্লুত।’’ তাকদিরার ‘হাতের জাদু’ জেলা থেকে রাজ্য এমনকি, জাতীয় স্তরেও প্রচুর পুরস্কার এবং সম্মান অর্জন করেছে। এ হেন তাকদিরা পদ্মশ্রী পাওয়ার পর সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু মহিলাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। কাজের মধ্য দিয়েই সমাজে এগিয়ে আসতে হবে মনে করেন তিনি।

তাকদিরা যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন, তখন থেকে সেলাইয়ের কাজ শিখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন একটা সেলাইয়ের ক্লাস হত। সেখানেই আমার হাতেখড়ি বলা যায়। তার পর বাড়ির লোকজনের কাছে কাঁথা স্টিচের কাজ শিখেছি।’’ শুধু আর শখ বা সময় কাটানোর জন্য সেলাই নয়। পরবর্তীকালে তাকেই পেশা করেছেন তাকদিরা। এখন তিনি বাড়িতে বসেই এই কাজ করেন। মেয়ে ও জামাই থাকেন দিল্লিতে। তাকদিরার তৈরি জিনিসপত্র তাঁরাই বিক্রির বন্দোবস্ত করেন। তাকদিরার কাছে কাজ করেন বহু মহিলা। তাকদিরার বার্তা, সংসার চালানোর জন্য রোজগার করুন। আবার নিজের কাজ যাতে সমাদৃত হয়, সে জন্য কাজকে ভালবাসাও প্রয়োজন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement