—প্রতীকী চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘জলজীবন মিশন’-এ গ্রামীণ এলাকায় সব বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে মাটির নীচে জলের উৎস সন্ধানে সতর্ক হল বীরভূম জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। মাটির নীচে জলের উৎস সন্ধানে এবার জেলার বিভিন্ন নদীতে খননকার্য করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের স্কুল ওফ ওয়াটার রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
ইতিমধ্যে অজয় নদের উপর খননকার্য করে খয়রাশোল, দুবরাজপুর, রাজনগর, মহম্মদবাজার ব্লকের কিছু অংশে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেইমতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খননকার্য চালানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় নদের উপর খননকার্য চালিয়ে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পরিস্রুত পানীয় জল খয়রাশোল, দুবরাজপুর, রাজনগর-সহ মহম্মদবাজার এলাকায় পৌঁছে দেওয়া যাবে। এ ছাড়া ওই প্রকল্পের মাধ্যমে বোলপুর এবং লাভপুর এলাকাতেও জল পৌঁছনো যাবে বলে আশাবাদী দফতরের আধিকারিকেরা। অজয় নদের খননকার্যে সাফল্যে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ময়ূরাক্ষী নদীর উপর তিলপাড়া ড্যামের নীচের অংশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খননকার্য চালানো হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা নির্বাহী আধিকারিক দেশবন্ধু হাজরা জানান, মুরারই ১, নলহাটি ১, রামপুরহাট ১-সহ মহম্মদবাজার ব্লক এলাকায় জলের চাহিদা কত সেটা দেখার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। সেইমতো মাটির নীচে জলের উৎসের সন্ধানে যত্রতত্র খননকার্য না করে এলাকার নদীগুলিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে খননকার্য চালানোর জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুরারই ১ ব্লকে বাঁশলৈ নদীতে জলের উৎস সন্ধানে খননকার্য চালানো হবে। একই ভাবে নলহাটি ১ ও রামপুরহাট ১ ব্লকে ব্রাহ্মণী নদীতে খননকার্য চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সাধারণত দেখা গিয়েছে, গরম পড়তেই মুরারই ১ ব্লকের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলস্তর নীচে নেমে যায়। একই ভাবে নলহাটি ১ ব্লকের বানিওড় পঞ্চায়েত, রামপুরহাট ১ ব্লকের কুশুম্বা, বনহাট, মাসড়া, নারায়ণপুর, কাষ্ঠগড়া এই সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলস্তর অনেক নীচে নেমে যায় গ্রীষ্মকালে। ফলে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা যায়।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসন থেকে ওই সমস্ত এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা করা হলেও কিছু দিনের মধ্যেই জলস্তর আরও নীচে নেমে যাওয়ায় এলাকায় যে সমস্ত প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল সেগুলি অকেজো হয়ে যায়। ফলে অর্থের অপচয় হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সেই কারণে এবার থেকে মাটির নীচে জলের উৎস সন্ধানে সতর্ক হবে বলে দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।