Poush Mela

বিদ্যুৎ-বিদায়ের পর পূর্বপল্লির মাঠে ফিরছে পৌষমেলা, সময়ের চাপের সঙ্গে লড়ছে শান্তিনিকেতন

পৌষমেলা করতে চেয়ে সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনটাই দাবি ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনারের। যদিও আসল সমস্যা, এত কম সময়ের মধ্যে মেলার পরিকাঠামো তৈরি করা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৫
File image of Poushmela

এ বছর কি পৌষমেলা আয়োজন করা সম্ভব? — ফাইল ছবি।

পূর্বপল্লির মাঠেই এ বার বসতে চলেছে শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত পৌষমেলার আসর। মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক সারে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। সম্পাদক অনিল কোনার বেরিয়ে দাবি করেন, হাতে সময় খুব কম। পরিকাঠামোগত সমস্যা কী করে কাটিয়ে ওঠা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

বিগত বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর এ বার পূর্বপল্লির মাঠেই বসতে চলেছে পৌষমেলা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়েছেন বলে খবর। মেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও উদ্যোক্তাদের ভাবাচ্ছে পরিকাঠামোর অভাবের দিকটি। পৌষমেলা বহরে বিশাল। অন্তত দু’হাজার দোকান বসে মেলায়। মূলত গ্রামীণ মেলা হওয়ায় আশপাশের জলাশয় থেকে জল সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও থাকে স্টল বণ্টনের বিষয়টি। বিগত দিনে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে স্টল বণ্টন করা হত। মঙ্গলবার বৈঠক সেরে বেরিয়ে ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল জানান, খড়্গপুর আইআইটি সফ্‌টঅয়্যারের মাধ্যমে স্টল বণ্টনের বিষয়টি সামাল দিত। কিন্তু বিশ্বভারতীর সঙ্গে এ ব্যাপারের খড়্গপুর আইআইটির চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে আবার চুক্তি করতে হবে। কিন্তু হাতে ততটা সময় নেই।

এই অবস্থায় কী করে পরিকাঠামোর হাল ফেরানো যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসে। অনিলের দাবি, জলের সমস্যা নিয়েও তাঁর সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কথা হয়েছে। আশপাশের পুকুর, জলাশয় সংস্কার করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। পাশাপাশি, পরিকাঠামোগত কী কী কাজ এখনই করা দরকার, তা লিখিত ভাবে ট্রাস্টকে জানাতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। লিখিত আকারে তা পাওয়ার পরেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। তার পর মেলা সংগঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হবে।

ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল বলেন, ‘‘আজ (মঙ্গলবার) উপাচার্য মহাশয় ট্রাস্টিকে ডেকেছিলেন। আমরা সবিস্তারে আলোচনা করলাম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেলা করতে চান আর ট্রাস্টির কাজই হল মেলা করা। কিন্তু হাতে সময় খুব কম। সফ্‌টঅয়্যার নিয়ে আজই উপাচার্য খড়্গপুর আইআইটিকে চিঠি লিখবেন। ওটা হয়ে গেলে আমরা দেখব কী কী করা যায়। যা বললেন, যা যা আলোচনা হল তা লিখিত ভাবে আমরা দিয়ে দিচ্ছি। তার পর যথাযথ জায়গায় তিনি তা নিয়ে আলোচনা করবেন।’’

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মেলা করতে কী কী প্রয়োজন তা ট্রাস্টি বোর্ড লিখিত আকারে জমা দিলেই মেলা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement