Pous Mela 2024

পৌষমেলা ৬ দিনের, খুশি ব্যবসায়ী মহল

মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে স্টল তোলা, স্থানীয় পুকুরগুলি সংস্কার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৪
পৌষমেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পূর্বপল্লিতে মেলার মাঠ পরিদর্শনে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত

পৌষমেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পূর্বপল্লিতে মেলার মাঠ পরিদর্শনে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সরেন ও জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। নিজস্ব চিত্র

পৌষ উৎসবের পাশাপাশি এ বার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মেলার মাঠেই হবে ছ'দিনের পৌষমেলা। মেলা তোলার জন্য অতিরিক্ত দু’দিন সময় দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের। সোমবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশাসনের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে হওয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সরেন, রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, অতিরিক্ত জেলাশাসক নিতু শুক্ল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রাণা মুখোপাধ্যায়, পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো থেকে শুরু করে করে বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ, আধিকারিক ও পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে স্টল তোলা, স্থানীয় পুকুরগুলি সংস্কার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত সাহায্য প্রদানের সব রকম আশ্বাস দেওয়া হয় বিশ্বভারতীকে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ বলেন, “বিশ্বভারতী যে মেলার আয়োজন করতে চলেছে, আমাদের সকলে মিলে তা সফল করতে হবে। আগের চেয়েও ভাল হবে এ বারের মেলা। বিশ্বভারতীর কিছু অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকে। আমরা তাদের সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি।’’ তিনি জানান, এ বছর ৬ দিনের মেলা হবে। আরও দু’দিন মেলা তুলতে সময় দেওয়া হবে। স্টলবণ্টন বিশ্বভারতীই করবে। মেলা পরিবেশ বান্ধবও হবে বলে মন্ত্রীর আশ্বাস।

জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, “পৌষমেলা নিয়ে আমাদের কাছে যে-সব আবেদন রেখেছে বিশ্বভারতী, জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও পুরসভা মিলিত হয়ে সেগুলির সমাধান করে সুষ্ঠু ভাবে মেলা পরিচালনা করা হবে।’’ মেলা তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মেলা তুলতে প্রত্যেক বছর প্রশাসনকে বেগ পেতে হয়। তবে প্রশাসন তার কাজ চালিয়ে যাবে।” উপাচার্যের কথায় ‘‘মেলা করার জন্য আমাদের আবেদনে প্রশাসন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আশা করি আমরা এই মেলা সুষ্ঠুভাবে করতে পারব।”

গত চার বছর নানা কারণ দেখিয়ে পৌষমেলা করেনি বিশ্বভারতী। তার পরিবর্তে দু’বার হয়েছিল ‘বিকল্প পৌষমেলা’। গত বছর অবশ্য বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লি মেলার মাঠে ফিরে আসে পৌষমেলা। তবে, মেলার আযোজক বিশ্বভারতী ছিল না। ছিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। শর্তসাপেক্ষে জেলা প্রশাসনকে মেলা করার জন্য পূর্বপল্লির মাঠ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। এ বছর ফের বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মেলা করবে। পৌষমেলার পুরনো চেহারা ফিরবে বলে অনেকেই আশাবাদী।

একই সঙ্গে এ বছর ছ’দিনের মেলা হওয়ায় কথা জেনে খুশি ব্যবসায়ীরা।বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ বলেন, “আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল, মেলা ছ’দিনের হোক। প্রশাসন ও বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। আশা করছি এ বারের মেলায় ব্যবসা যথেষ্ট ভাল হবে।” ভাল ব্যবসার আশায় বোলপুরের হোটেল ব্যবসায়ীরাও।

আরও পড়ুন
Advertisement