Dwaraka River Pollution

অবাধে দূষণ, গন্ধ দ্বারকা নদের জলে

তারাপীঠে গেলেই দেখা যাবে দ্বারকা নদে ভাসছে সবুজ কচুরিপানা, শ্যাওলা। দক্ষিণ থেকে উত্তরবাহিনী নদীর প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে সেই শ্যাওলা কচুরিপানা ভেসে রয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ  শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৮
তারাপীঠ দ্বারকা নদের ঘাট ভরেছে জঞ্জালে।

তারাপীঠ দ্বারকা নদের ঘাট ভরেছে জঞ্জালে। নিজস্ব চিত্র।

অভিযোগ গড়িয়েছে আদালতে। বারবার সতর্ক করেছে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও দূষণ রোখা যায়নি তারাপীঠের দ্বারকা নদে। যথেচ্ছ ময়লা ফেলার ফলে নদের জলে জমছে প্লাস্টিক ও নোংরা আবর্জনা। তারাপীঠে আগত পুণ্যার্থী ও শ্মশানযাত্রীরা দ্বারকা নদের পচা জলে স্নান করতেও দ্বিধা বোধ করছেন।

Advertisement

তারাপীঠে গেলেই দেখা যাবে দ্বারকা নদে ভাসছে সবুজ কচুরিপানা, শ্যাওলা। দক্ষিণ থেকে উত্তরবাহিনী নদীর প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে সেই শ্যাওলা কচুরিপানা ভেসে রয়েছে। শ্যাওলার কচুরিপানার ঝোপ জঙ্গলে আটকে রয়েছে প্লাস্টিকের বোতল, থার্মোকল, আবর্জনা। নদী দূষণে প্রশাসন এবং তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ নদীতে জঞ্জাল ফেলার ব্যাপারে লজ মালিকদের ও দোকানিদের সতর্ক করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নদীবক্ষে অবাধে জমছে প্লাস্টিক ও আবর্জনা।

তারাপীঠের দ্বারকা নদে দূষণ নিয়ে দায়ের করা মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে আবর্জনা মিশ্রিত জল সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। তখন তারাপীঠের দ্বারকা নদের উত্তর এবং দক্ষিণ দিক মিলিয়ে ৩ কিমি এলাকা জুড়ে নোংরা সাফ করা হয়। নদীর নাব্যতাও বাড়ানো হয়েছিল। দ্বারকা নদের দক্ষিণ দিকে শ্মশান লাগোয়া এলাকায় জমে থাকা জলও যন্ত্রের মাধ্যমে তুলে ফেলে দিয়ে পড়ে থাকা জঞ্জাল সাফ করা হয়। কিন্তু এখন আবার জঞ্জাল জমে দ্বারকা নদের অবস্থা শোচনীয়। বাসিন্দারা জানান, দ্বারকা নদের নোংরা আবদ্ধ জলে রীতিমতো গন্ধ ছাড়ছে। শবদাহ করে ফিরে আসা এক শ্মশানযাত্রী জানালেন, ‘‘শ্মশান লাগোয়া ঘাট নতুন করে তৈরি হয়েছে। অথচ পচা জলে শ্যাওলা জমছে। ওই জলে পা ধুয়ে উঠে আসা যায় কিন্তু স্নান করা যায় না।’’

দূষণের অভিযোগ নিয়ে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জল পরিষ্কার করতে পদক্ষেপ করা হবে। লজ মালিক ও দোকানদারদের চিহ্নিত করে সতর্ক করা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement