Anubrata Mondal

Anubrata Mondal: ‘জোর’ করেই পাঠানো হয়েছিল, সিবিআইকেও একই কথা জানালেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ

চন্দ্রনাথ অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে অনুব্রতের চিকিৎসা বিতর্কে তাঁকে প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। হাসপাতাল সুপারকেও তলব করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২২ ১২:৩৩
সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন চন্দ্রনাথ।

সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন চন্দ্রনাথ। ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষার পর কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। জানিয়েছিলেন, সাদা কাগজে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিতে বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। শুক্রবার সকালে সেই চন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অনুব্রতের চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা খোঁজখবর নেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআইয়ের তরফে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু এবং অনুব্রতের চিকিৎসা করা ডাক্তারকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার পর সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন চন্দ্রনাথ। সূত্রের খবর, সংবাদমাধ্যমের সামনে চন্দ্রনাথ ঠিক যা যা বলেছিলেন, সিবিআইকেও তাই বলেছেন। তিনি জানান, হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতকে দেখতে তাঁর বাড়িতে মেডিক্যাল দল নিয়ে যান তিনি। তার পর তৃণমূল নেতার ‘অনুরোধে’ তাঁকে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিয়েছিলেন।

Advertisement

তবে সেই পরামর্শ কোনও প্যাডে নয়, নেতার বাড়ি থেকে একটি এ-ফোর সাইজের কাগজ চেয়ে নিয়ে লিখে দিয়েছিলেন। এই সাদা কাগজের লেখার ব্যাপারটিও তিনি হাসপাতাল সুপারের নির্দেশে করেন বলে জানান। পাশাপাশি, অনুব্রতের ঠিক কী কী শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁকে দেখার পর কী বুঝেছেন, সে সবও জানতে চায় সিবিআই। চন্দ্রনাথ আগেই দাবি করেছেন, অনুব্রতকে তিনি হাসপাতালে এসে দেখানোর কথা বললেও, সুপার তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে দেখে আসতে। সিবিআইকে সেই কথাই বলেছেন তিনি।

অন্য দিকে, হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেবকে ডেকেও তাঁর সাড়া পায়নি সিবিআই। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই বুদ্ধদেবের ছুটির মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তিনি আবার ছুটির আর্জি জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। অন্য দিকে, চন্দ্রনাথও ছুটিতে রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement