শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিনেই ভাঙচুর হল বিজেপি বিধায়কের গাড়ি। বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপির অন্তর্কলহের দিকে ইঙ্গিত করেছে।
মঙ্গলবার সকালে শালতোড়ার নেতাজি সেন্টিনারি কলেজের গণনাকেন্দ্রের কাছে বিজেপির শিবিরে বসেছিলেন বিধায়ক চন্দনা। আচমকাই বিজেপি শিবির লক্ষ করে ঢিল পড়তে থাকে। তাতে কয়েক জন বিজেপি কর্মী সামান্য জখম হন। ঢিল লেগে ভেঙে যায় বিধায়কের গাড়ির কাচ। আরও কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। এর পর পুলিশ এসে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বলেন, ‘‘টিএমসির গুন্ডা, হার্মাদ বাহিনী এসে যত গাড়ি দাঁড়িয়েছিল সব ক’টাকে ভেঙেছে। রাস্তায় আমাদের যে ছেলেরা দাঁড়িয়েছিল, তাঁদের মারতে মারতে নিয়ে গিয়েছে। যখন আমি বেরিয়ে এলাম তখন পুলিশ সক্রিয় হয়। তার আগে পর্যন্ত চুপচাপ দাঁড়িয়েছিলেন। পুলিশ আগে সক্রিয় হলে একটা গাড়িও ভাঙত না।’’
যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহের দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘‘ভোটে প্রার্থী নিয়ে বিজেপির মধ্যে প্রবল অন্তর্কলহের কথা কারও অজানা নয়। প্রবল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে বিধায়কের সামনে। সেটাকে এখন তৃণমূলের উপর চাপাতে হবে। তাই এ সব বলে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন চন্দনা বাউড়ি। এই ঘটনা যে ঘটবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। এ বিষয়ে তৃণমূলের কিছু করার নেই। তৃণমূল বিজেপির এই নোংরা নাটক নিয়ে চিন্তিত নয়।’’