Child Trafficking

Child Trafficking: শিশু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে বাঁকুড়ায় সিআইডি-র দল, জেরা তিন অভিযুক্তকে

শিশুপাচার-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২১ ১৫:১৭
বাঁকুড়া থানায় সিআইডি-র তদন্তকারী দল।

বাঁকুড়া থানায় সিআইডি-র তদন্তকারী দল। নিজস্ব চিত্র।

বাঁকুড়ার স্কুল থেকে শিশু পাচার-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করল সিআইডি। শুক্রবার দুপুরে বাঁকুড়ায় পৌঁছেছে সিআইডি-র ‘অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট’-এর পাঁচ সদস্যের এক তদন্তকারী দল। তদন্তকারী দলে রয়েছেন দু’জন মহিলা।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তদন্তকারী দলটি বাঁকুড়া সদর থানায় পৌঁছায়। প্রথমে বাঁকুড়া সদর থানার আইসি-র সঙ্গে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন সিআইডি-র অফিসাররা। এরপর সিআইডি-র তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিশু পাচার কান্ডে পুলিশ হেফাজতে থাকা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলকুমা রাজোরিয়া-সহ তিন অভিযুক্তকে।

প্রসঙ্গত, কমল ছাড়াও শিশু পাচার-কাণ্ডে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুষমা শর্মার স্বামী সতীশ ঠাকুর এবং পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের চায়ের দোকানদার স্বপন দত্তকে আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, শিশু পাচারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা ছিল স্বপনের। সুষমাকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে।

Advertisement

শনিবার পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ওই তিন অভিযুক্তের। পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, শনিবার ওই তিন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাতে পারে সি আইডি। তদন্তের প্রয়োজনে সিআইডি-র তদন্তকারী দলটি নবোদয় বিদ্যালয়ে যেতে পারে বলেও ওই সূত্রের খবর।

শিশুপাচার-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অধ্যক্ষ এবং এবং ধৃত শিক্ষিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পাঁচ জন শিশুকন্যাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement