West Bengal Panchayat Election 2023

বোর্ড গঠন নিয়ে বাঁকুড়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আহতদের স্যালাইন দিয়ে শুইয়ে রাস্তা অবরোধ!

নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের ভক্তাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭টি আসন পায় বিজেপি। তৃণমূলও সমসংখ্যক আসন পেয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৪
Alleged injured BJP workers lie down on the road in Bankura for protesting against indiscipline in Panchayat board formation

বিজেপির জাতীয় সড়ক অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অশান্তি অব্যাহত বাঁকুড়া জেলায়। শুক্রবার বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে জেলার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের ভক্তাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতে দফায় দফায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, বিজেপির বেশ কয়েক জন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে আহতদের স্যালাইন দিয়ে রাস্তায় শুইয়ে রেখে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। এতে ব্যাপক যানজট হয়।

Advertisement

নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের ভক্তাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭টি আসন পায় বিজেপি। তৃণমূলও সমসংখ্যক আসন পেয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই তরফের প্রার্থী এবং কর্মীসমর্থক পঞ্চায়েত কার্যালয়ের বাইরে জমায়েত করেন। কিন্তু তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা লাঠি নিয়ে বিজেপির কর্মীদের আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, অনৈতিক ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করার উদ্দেশ্যে বিজেপিকে বোর্ড গঠনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপির সাত পঞ্চায়েত সদস্য জোর করে পঞ্চায়েতে ঢোকার চেষ্টা করাই নয়, তাঁদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দাবি, অন্তত ১০ জন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে গঙ্গাজলঘাঁটি থানা এলাকার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে চিকিৎসাধীন আহত বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় এনে শুইয়ে গঙ্গাজলঘাঁটি থানার সামনে অবরোধ করেন কর্মীরা। এ নিয়ে বিজেপির ওন্দার বিধায়ক তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত দখল করতে তৃণমূল এতটাই মরিয়া ছিল যে, বিজেপির নির্বাচিত সদস্যদের ব্যাপক মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা ঘটেছে গঙ্গাজলঘাঁটি থানার পুলিশের সামনে। পুলিশ কার্যত তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকার কড়া নিন্দা করছি।’’

অন্য দিকে, তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাঁটি-১ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি হৃদয় মাধব দুবে বলেন, ‘‘ভক্তাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে কোনও অশান্তি হয়নি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপির নির্বাচিত সদস্যদের একাংশ আমাদের সমর্থন করতে পারেন, এই আশঙ্কায় বিজেপির কোনও পঞ্চায়েত সদস্যই গ্রাম পঞ্চায়েতমুখো হননি। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement