কলকাতার পথে চাকরিহারারা। — নিজস্ব চিত্র।
এই নববর্ষ তাঁদের জন্য ‘শুভ নয়’। কার্ডে, ব্যানারে সে কথা লিখে নববর্ষের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পথে নামলেন চাকরিহারারা। ওয়েলিংটন থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করলেন তাঁরা। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিহারাদের একাংশ। অন্য দিকে, বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে চাকরিহারাদের একাংশের। বাসে চেপে সোমবার দিল্লি রওনা দিয়েছেন প্রায় ৫০ জন। মাঝপথে থেমে বাস থেকে নেমে জনসাধারণের কাছে সমর্থন চাইলেন তাঁরা। বিলি করলেন লিফলেটও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্ল্যাকার্ড, কার্ড হাতে কলকাতা মিছিল করেন চাকরিহারারা। তাতে লেখা, ‘'শুভ নয় এ নববর্ষ’। মিছিলের নাম ‘পুনর্বিবেচনার হালখাতা। মনোবিদ্যার শিক্ষিকা সুজাতা হালদার বলেন, ‘‘এ বারের নববর্ষ আমাদের জন্য শুভ নয়। তাই এই কার্ড হাতে নিয়ে পথে নেমেছি। আমি কষ্ট করে চাকরি পেয়েছি সেটা অন্য কারও দোষের জন্য হারাতে হবে কেন?’’ চাকরিহারাদের আরও বক্তব্য, ‘‘আমরা আজ চাকরি পেয়েও বেকার। তাই আমাদের এই নববর্ষ কোনও ভাবেই শুভ নয়।’’ শুধু কলকাতা নয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে এই মিছিল করেছেন চাকরিহারারা। কলকাতার ধর্মতলা মোড়ে মানববন্ধনও করেন তাঁরা।
অন্যদিক, চাকরিহারাদের একাংশকে নিয়ে যে বাস সোমবার কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছে, তা মঙ্গলবার মধ্যরাতে বা ভোরে দিল্লিতে পৌঁছবে। বুধবার দুপুরে যন্তর মন্তরে অবস্থান-বিক্ষোভ। যাওয়ার পথে যে সব জায়গায় বাস দাঁড়িয়েছে, সেখানে মানুষজনকে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে লিফলেট বিলি করেছেন চাকরিহারারা। উত্তরপ্রদেশের দৌলতপুরে হানস গ্রিনফিল্ড পাবলিক স্কুলে শিক্ষকদেরও পাশে থাকার আর্জি জানানো হয়েছে। তাঁদের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়া হয়েছে।
‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনের তিন জন সদস্য মঙ্গলবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বীরেন রায় রোডের বাড়িতে যান। আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছেন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, এই অভিযানে সৌরভকেও পাশে চান তাঁরা। সূত্রের খবর, ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনের সদস্যেরা যখন সৌরভের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।