Partha Chatterjee

Partha Arpita Case: বিপুল কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ! কসবায় অর্পিতার ‘ইচ্ছে’ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ মেয়র ফিরহাদের

কসবার যে বাড়িটি এখন সবার আকর্ষণের কেন্দ্রে, সেই ‘ইচ্ছে’ বাড়িটিই অবৈধ ভাবে তৈরি এবং এই বাবদ বিপুল টাকা কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ১৪:৪৬
এই বাড়িটি তৈরি করার পরই কর ফাঁকির অভিযোগ।

এই বাড়িটি তৈরি করার পরই কর ফাঁকির অভিযোগ। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

‘ইচ্ছে’ করে কর ফাঁকি দিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়! কসবার রাজডাঙা মেইন রোডের উপর ‘ইচ্ছে’ বাড়িটি নিয়ে এ বার তদন্তের নির্দেশ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। এই জমিতে বাড়ি তৈরি করার পর পুরসভাকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দোষ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত কেএমডিএর চেয়ারম্যান ফিরহাদের।

বিতর্কের কেন্দ্রে কসবায় ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোডের তিনটি প্লট। পুরসভার কর ও রাজস্ব খাতা অনুযায়ী তার নম্বর ১০, ১১ এবং ১২। ১১ নম্বরে প্লটে রয়েছে ‘ইচ্ছে’ বাড়িটি। ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার সেই বাড়িটিতেও অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ ছাড়া ১০ এবং ১২ প্লটে বাড়ি থাকলেও পুরসভার খাতায় ফাঁকা জমি হিসেবেই চিহ্নিত আছে। ১১ নম্বর প্লটে ‘ইচ্ছে’ বাড়িটি ২ কাঠা ৯ ছটাক জমির উপর তৈরি। তার জন্য পুরসভা বাৎসরিক কর পায় ২,৩৫৬ টাকা। অথচ, বাড়ি-সহ এই জায়গার প্রকৃত পুরকর হওয়া উচিত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকারও বেশি! অর্থাৎ, অভিযোগ শুধুমাত্র একটি জমিতেই পুরসভার বিপুল কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। একই প্রশ্ন রয়েছে অন্য দু’টি প্লট নিয়েও।

Advertisement

ইডি সূত্রে খবর কসবার রাজডাঙা এলাকায় প্রোডাকশন হাউস চালাতেন অর্পিতা। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, তা শ্যুটিংয়ের কাজে যেমন ভাড়া দেওয়া হত, তেমনই সেখানে প্রোডাকশন হাউজের কাজও চলত। একই জায়গায় জুনিয়র আর্টিস্টদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। ২০১৩-য় অর্পিতা এই প্রোডাকশন হাউজটি খোলেন। ইডির দাবি, সেই সময় জমি এবং বাড়ি ছিল পার্থের নামে। ২০১৪-য় পার্থের থেকে অর্পিতার নামে তা বদল করা হয়। যদিও এই দাবির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করে দেখেনি। অভিযোগ, যে বাড়ি নিয়ে এত হইচই, পুরসভার খাতায় সেই বাড়িরই কোনও হদিস নেই! অর্থাৎ, পুরসভার খাতায় ফাঁকা জমি থাকলেও আদতে সেখানে বিশাল বাড়ি বানিয়ে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসায়িক কাজকর্ম।

এ বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ কিছুই বলতে চাননি। যদিও সূত্রের খবর, কেএমডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যদি তদন্তে দেখা যায় সত্যি কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে, সে ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কেএমডিএ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন
Advertisement