Suvendu Adhikari

চাকরি-সঙ্কটে ‘বিনোদন’ কেন, বয়কট শুভেন্দুদের

চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:১৪
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

রাজ্য বিধানসভার ‘স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাবে’র বার্ষিক অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী দল বিজেপি। চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন ঘিরে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমান পরিস্থিতিতে নৈতিক কারণেই বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক নাচ-গানের আনন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না জানিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভার সচিবকে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা ওই অনুষ্ঠান বাতিল বা অন্তত পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘শিক্ষকদের সঙ্কটের মধ্যে এই আয়োজন তীব্র অসংবেদনশীলতার পরিচয়!’’ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বহু দিনের। তখন এই পরিস্থিতি ছিল না। সব কিছুকে রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে আসাও সুস্থ রুচির পরিচয় নয়।’’

বিধানসভার কর্মী সংগঠনের আজ, বুধবার ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা নবনির্মিত প্রেক্ষাগৃহে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী ও শাসক দলের একাধিক বিধায়কের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। সুপ্রিম কোর্টের রায়, তার জেরে শিক্ষা দফতর এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পদক্ষেপ ঘিরে চাকরিহারা ২৬ হাজার শিক্ষক- শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মী আন্দোলনে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। গত দু’দিন ধরে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে তাঁরা এসএসসি-র দফতর ঘিরে অবস্থান করছেন। এই অবস্থায় বিধানসভায় এই অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্য সরকার ও বিধানসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘চাকরি হারিয়ে যোগ্য শিক্ষকেরা যখন এই দুঃসহ গরমে রাস্তায়, তখন সরকার উদ্‌যাপনে মেতেছে।’’ এই রকম আয়োজনে অনুমতি দেওয়ায় স্পিকারের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা।

বিধানসভার সচিবকে চিঠি শুভেন্দু জানিয়েছেন, এই অবস্থায় অনুষ্ঠান হলে বিজেপির কোনও প্রতিনিধি সেখানে যোগ দেবেন না। যদিও স্পিকারের যুক্তি, ‘‘এটা কর্মীদের অনুষ্ঠান। তাঁদের শুধু প্রেক্ষাগৃহটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘চাকরিহারা সকলের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার সহমর্মী। বিরোধীরা অস্থিরতা তৈরি করতে চাইলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারই করছে।’’ কর্মী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অয়ন দাসের বক্তব্য, ‘‘এটা আমাদের বার্ষিক পারিবারিক মিলন অনুষ্ঠান। প্রতি বছরই হয়। এর সঙ্গে বিধানসভা বা সরকারের কোনও সম্পর্কই নেই।’’

আরও পড়ুন