বিধানসভায় প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মাল্যদান করছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের সমস্ত প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীদের জন্মদিন পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার ছিল জ্যোতি বসুর ১০৭তম জন্মদিন। বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই জ্যোতিবাবুর জন্মদিন উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। অথচ এবারই বিধানসভায় বাম প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই গত ১১ বছরে এই প্রথমবার জ্যোতিবাবুর জন্মদিনে তাঁর ছবিতে মাল্যদান করতে পারলেন না কোনও সিপিএম তথা বাম বিধায়ক। বরং প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে মাল্যদান করেন বামবিরোধী দর্শনে বিশ্বাসী বিধায়করা। অনেকে আবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন।
বিধানসভায় প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে মাল্যদান করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াই করে জয়ী হয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনিও মাল্যদান করেন।
গত বছর পর্যন্ত বিধানসভায় জ্যোতি বসুর জন্মদিনে মাল্যদান করতে পারতেন বাম বিধায়করা। কিন্তু এবারে ভোটের ফলাফলে যাবতীয় সমীকরণ উল্টে গিয়ে বাম-কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়। বিগত বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘বিধানসভায় সরকারি ভাবে মাল্যদান করা হয়েছে। সেখানে বিধায়করাই মাল্যদান করেন। কিন্তু এবার আমরা সেখানে নেই, তাই সেখানে কেউ মাল্যদান করতে পারেননি। কিন্তু আমরা দলগতভাবে রাজ্যজুড়েই আমাদের নেতাকে স্মরণ করেছি।’’
আর জ্যোতিবাবুর জন্মদিনে বামেদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এবারের ভোটের পর থেকেই বলে আসছি, বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের শূন্য হয়ে যাওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল নয়। আর এই বাজেট অধিবেশনেই আমরা জ্যোতিবাবুদের অভাব অনুভব করছি। আসলে বামেরা তো মমতার বিরোধিতা করতে গিয়ে নিজেরাই উড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেন।’’