Farmers

বুনো শুয়োরের তাণ্ডবে মাথায় হাত মালদহের কৃষকদের, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের

বেশ কিছু দিন ধরে বুনো শুয়োরের পাল তাণ্ডব চালাচ্ছে মানিকচকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। কৃষকেরা শুয়োর তাড়াতে গিয়ে নিজেরাই পাল্টা তাড়া খেয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:২৭
Screen Grab

বুনো শুয়োরের তাণ্ডবে নষ্ট বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। — নিজস্ব চিত্র।

বুনো শুয়োরের পালের তাণ্ডবে মাথায় হাত মালদহের মানিকচকের কৃষকদের। পাঁচটি মৌজার প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির ভুট্টা চাষ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শুয়োরের তাণ্ডবের হাত থেকে বাঁচতে শনিবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তাঁদের আশঙ্কা, ব্লক প্রশাসন এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে কোনও ফসল বাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে পারবেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

মানিকচক ব্লকের রুস্তমপুর, মীরপুর, রহিমপুর, খাসমহল মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢালাও ভুট্টা এবং গম চাষ হয়। এ বার ভুট্টার ফলনও হয়েছে ভাল। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, বুনো শুয়োরের পাল রাতের অন্ধকারে ভুট্টার ক্ষেত লন্ডভন্ড করে দিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, যে পরিমাণ ভুট্টা খেয়ে নষ্ট করছে শুয়োরের পাল, তার চেয়ে অনেক বেশি ভুট্টা গাছ ভেঙে নষ্ট করছে তারা। অনেক চেষ্টা করেও বুনো শুয়োরের পালকে তাড়াতে পারছেন না কৃষকেরা। কোনও উপায়ই আর কাজে আসছে না। অনেক ক্ষেত্রে শুয়োরের পাল তাড়াতে গেলে পাল্টা তারা তাড়া করছে কৃষকদের। শুধু শুয়োর নয়, ইঁদুরের উৎপাতেও অতিষ্ঠ কৃষকরা।

ধরমপুর অঞ্চলের কৃষক শৈলেশ সরকার বলেন, ‘‘আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম বুনো শুয়োর তাড়াতে। কিন্তু উল্টে আমাদেরই তাড়া করছে। প্রাণভয়ে পিছিয়ে এসেছি। শুয়োরের আক্রমণে যে কোনও সময় কৃষকদের মৃত্যু হতে পারে।’’ গোপালপুরের তাজমুল শেখ বলেন, ‘‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে জমির ফসল জমিতেই থেকে যাবে। সমস্ত ফসল গ্রাস করে নেবে বুনো শুয়োরের পাল। আমরা চাই, বন দফতরের মাধ্যমে বুনো শুয়োরের পালকে তাড়াতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’’

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন বন দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছে। খুব দ্রুত বুনো শুয়োরের পাল তাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement