Sikkim Flood

বাইকে সিকিমে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ রায়গঞ্জের দুই ভাই ও রাঁচীর বন্ধু, আতঙ্কে পরিবার

স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই ভাই স্বর্ণদীপ মজুমদার ও শ্রীকান্ত মজুমদার রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে ঈশান নামে রাঁচীর এক যুবকও গিয়েছিলেন। শনিবার বাইকে করে সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:২২
নিখোঁজ যুবক।

নিখোঁজ যুবক। —নিজস্ব চিত্র।

মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিম। সেখানে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের দুই ভাই। পরিবার সূত্রে খবর, দুই ভাই এবং রাঁচীর এক বন্ধু মিলে বাইকে করে সিকিমে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের খোঁজে বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা, মা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই ভাই স্বর্ণদীপ মজুমদার ও শ্রীকান্ত মজুমদার রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে ঈশান নামে রাঁচীর এক যুবকও গিয়েছিলেন। শনিবার বাইকে করে সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। স্বর্ণদীপের মা মিঠু মজুমদার জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদও দুই ছেলের সঙ্গে তাঁরা কথা হয়েছে। কিন্তু বুধবার থেকেই নিখোঁজ দুই ভাই। মিঠু বলেন, ‘‘সকাল থেকে বন্যার খবর পাচ্ছি। টিভিতে সিকিমের ভয়াবহ সব ছবি দেখেছি। আমরা ভীষণ আতঙ্কিত। ওদের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না।’’

বাস, ট্রেন এবং বিমানে করে বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে পর্যটকেরা বেড়াতে যান সিকিমে। প্রতি বার পুজোর মুখে সেই ভিড় আরও বাড়ে। তেমনই পর্যটকে ভরা সিকিমে তিলধারণের জায়গা ছিল না হোটেল, অতিথি নিবাসে। কিন্তু বুধবার সকাল দেখল এক অন্য সিকিমকে। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ভেসে গিয়েছে বহু সেতু। জলমগ্ন বাড়িঘর। কিছু জায়গায় জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে বড় বড় ভবন। কাদাস্রোতের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বহু বসতি, রাস্তাঘাট, সেনাছাউনি। সিকিমের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তর সিকিমের বিকচু থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিমে অন্তত দু’হাজার বাঙালি পর্যটক আটকে পড়েছেন। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ফলে আপাতত অবরুদ্ধ ফেরার পথ। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে উত্তরবঙ্গের তিস্তা। বুধবার সকাল থেকে তিস্তার তাণ্ডবে অবরুদ্ধ সিকিম যাওয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (সাবেক ৩১এ জাতীয় সড়ক)। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ছাড়াও বাংলা থেকে আরও একটি রাস্তা পৌঁছয় সিকিম। সেই পথ ডুয়ার্স, গরুবাথান, লাভা, কালিম্পং হয়ে চলে যায় সিকিম। সেই রাস্তার অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। বিপদসঙ্কুল ওই পথ ব্যবহার করতেও মানা করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়নি, সেই পথ আদৌ অটুট রয়েছে কি না। বাংলার পর্যটন সংস্থাগুলির সমিতি দুই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে। কী করে পর্যটকদের উদ্ধার করে সমতলে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকারও।

আরও পড়ুন
Advertisement