Raiganj University

শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ টিএমসিপির

বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেবাশিস-ঘনিষ্ঠদের’ একাংশের দাবি, এ দিন উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪২
উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য টিএমসিপির সদস্যদের ভিড়।

উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য টিএমসিপির সদস্যদের ভিড়।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক দেবাশিস বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ক্লাস না করিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সোমবার টিএমসিপির সদস্যেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার রায়ের কাছে একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি দেন। তাতেই উপাচার্যের কাছে নানা অভিযোগ জানানো হয়েছে। দেবাশিস এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেবাশিস-ঘনিষ্ঠদের’ একাংশের দাবি, এ দিন উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন।

Advertisement

উপাচার্য বলেন, “কোনও শিক্ষক ক্লাস না করালে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের ‘ডিন’ তার রিপোর্ট দেবেন। বাইরের কেউ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী বললেন, তা নিয়ে কিছু বলার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের মধ্যে যা-যা রয়েছে, সে হিসেবে পদক্ষেপ করা হবে।”

টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন সহ-সভাপতি শুভাশিস ঝায়ের অভিযোগ, “দেবাশিসবাবু ক্লাস না করিয়ে উপাচার্যের ঘরে বসে থাকছেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিজেপি করার জন্য প্রভাবিত করছেন বলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হিসেবে দাবি করছি।” টিএমসিপির তরফে ওই স্মারকলিপিতে দেবাশিসের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ধমকানো ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগও তোলা হয়েছে। শুভাশিসের বক্তব্য, “দেবাশিসবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধ না করলে আমরা ফের আন্দোলনে নামব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেবাশিস-ঘনিষ্ঠদের’ দাবি, দেবাশিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাস না করালে, অর্থনীতির পড়ুয়ারা অভিযোগ করতেন। টিএমসিপির এই অভিযোগের ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে তাঁদের অনুমান।

এ দিন ওই স্মারকলিপিতে টিএমসিপির তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সমস্যা মেটানো, সিমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষার উত্তরপত্র পূণর্মূল্যায়ন, ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকাশি নালা সাফাই, ক্যান্টিন চালু-সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে। উপাচার্যের বক্তব্য, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন চালু না হলে, ক্লাসরুমের অভাবের সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়। বাকি দাবিগুলির সঙ্গে আমি ‘সহমত’ পোষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement