Central Team

কেন্দ্রের ‘নজরে’ থাকা পঞ্চায়েতে এগিয়ে তৃণমূলই

আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে চলতি বছর আলিপুরদুয়ার জেলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। সে দলও জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে যায়।

Advertisement
পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৬:১০
দুর্নীতির নালিশ খতিয়ে দেখতে শহরে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল।

দুর্নীতির নালিশ খতিয়ে দেখতে শহরে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। ফাইল চিত্র।

গত বছর অগস্টের শুরুর দিকের কথা। একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতি খুঁজতে আচমকাই জেলায় হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। গেলেন একের পরে এক গ্রাম পঞ্চায়েতে। খতিয়ে দেখলেন নানা কাজ। বিভিন্ন কাজের মান নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের। দেখলেন কাজের রেজিস্টার। একই ভাবে আবাস যোজনা নিয়ে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এ বছর আলিপুরদুয়ার জেলাতেও এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে সরেজমিন সব খতিয়ে দেখেছিলেন দলের সদস্যেরা। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলার যে সব গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিল, একটি বাদে তার বেশিরভাগেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি জয়ী হয়েছে শুধু একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর অগস্টে একশো দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ দেখতে জেলায় আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের টটপাড়া ১, মহাকালগুড়ি, ফালাকাটার ধনীরামপুর ১, জটেশ্বর ২, মাদারিহাটের হান্টাপাড়ায় যায়। এর মধ্যে টটপাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বিজেপি পায় মাত্র তিনটি আসন। একটি আসনে জয় পান নির্দল প্রার্থী। ফালাকাটার ধনীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কুড়িটি আসনের মধ্যে ১২টিতে তৃণমূল ও আটটিতে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। একই ভাবে মহাকালগুড়ি বা হান্টাপাড়াতেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে জটেশ্বর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গিয়েছে। সেখানে ২১টি আসনের মধ্যে ১১টিতে বিজেপি, আটটিতে তৃণমূল ও একটি করে আসনে সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

Advertisement

আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে চলতি বছর আলিপুরদুয়ার জেলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। সে দলও জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে যায়। যার মধ্যে ছিল মাঝেরডাবরি, শামুকতলা, মাদারিহাট, রাঙালিবাজনা, দলগাঁওয়ের মতো গ্রাম পঞ্চায়েত। এ রমধ্যে শামুকতলা ও রাঙালিবাজনা ত্রিশঙ্কু হলেও বাকিগুলিতে জয় পেয়েছে তৃণমূল।

ফালাকাটার বিধায়ক তথা বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের নামে এ বার যেটা হয়েছে, সেটা প্রহসন ছাড়া, কিছু নয়। শুধু ছাপ্পা আর কারচুপি হয়েছে এই ভোটে। তাই তৃণমূল জিতেছে।”

বিজেপি বিধায়কের ওই অভিযোগ উড়িয়ে এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, “দিল্লির বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে এবং একশো দিন ও আবাস যোজনার টাকা আটকে আলিপুরদুয়ারবাসীকে চাপে রাখতে চেয়েছিল। জেলার মানুষ যার জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement