Teesta River

তিস্তার গতিবদল, সমীক্ষায় আসছে বিশেষজ্ঞ দল

নদীর আচরণের ঠিকঠাক আঁচ পেতেই বিশেষজ্ঞ দল আসছে। সেচ দফতর থেকেই বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নদীর পথ বদলের কথা জানানো হয়েছিল।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৮
তিস্তা নদী।

তিস্তা নদী। —ফাইল চিত্র।

তিস্তা নদীর পথ কি আরও বদলাবে? একটু একটু করে ডান দিক, বাঁ দিকে বেঁকে যাচ্ছে তিস্তা নদী। তিস্তার বদলে যাওয়া পথ দেখতে এ বার বিশেষজ্ঞ দল আসছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী মাসের মধ্যেই রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তিস্তার গতিপথ দেখতে বিশেষজ্ঞ দল আসছে। গত অক্টোবরে সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদে বিপর্যয়ের পরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তিস্তায়। এক সঙ্গে প্রচুর জল হড়পা বানের আকারে নেমে আসে তিস্তা দিয়ে। সে বিপর্যয়ের পরে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে তিস্তার গতি, যা প্রকাশ্যে আসে আরও কিছুদিন পরে। উপগ্রহ ছবিতে তিস্তার গতিবদল ধরা পড়ে। সে পথ কতটা বদলেছে তা দেখতেই বিশেষজ্ঞ দল আসতে পারে চলতি মাসে।

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রের দাবি, এখনও বদলাচ্ছে তিস্তার গতিপথ। সেচ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “নদীর গতি যখন বদলাতে শুরু করে, তখন ঠিক কতটা বদলাবে প্রথমেই বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে নদীর পথ বদল হয়। অনেকটা সময় লাগে। তিস্তার সেই বদল এখনও চলছে। গত সপ্তাহেই ফের একটু বিচ্যুতি লক্ষ করা গিয়েছে।”

নদীর আচরণের ঠিকঠাক আঁচ পেতেই বিশেষজ্ঞ দল আসছে। সেচ দফতর থেকেই বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নদীর পথ বদলের কথা জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই সংস্থার এক প্রতিনিধি দল আসতে চলছে। সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার (উত্তর-পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, ‘‘রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা আরআরআই থেকে প্রতিনিধি দল আসছে। আমাদের তরফেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ওদের একটি প্রতিনিধি দল আসছে শীঘ্রই।”

সূত্রের খবর, মূলত সেবক থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত গতিপথের সরেজমিনে পরীক্ষা করবে বিশেষজ্ঞ দল। সাধারণত শীতকালে নদীতে জল থাকে না। তার ফলে, গতিপথ বদলায় না। কিন্তু সম্প্রতি কালীঝোরা ব্যারাজ থেকে ফের জল ছাড়ায়, নদীতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল। তার পরেও নদীতে গতিপথ বদলানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে বলে দাবি। বিশেষজ্ঞ দল সমীক্ষা চালানোর পরে, সে পরিবর্তন স্থায়ী কি না, আরও কিছু রদবদল হবে কি না, তা জানা যাবে। শীতের তিন-চার মাস পর থেকেই জল বাড়তে শুরু করবে নদীর। তিস্তার বদলে যাওয়া পথের ঠিকঠাক হদিস না পাওয়া গেলে বর্ষার সময়ে আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি সেচ দফতরের কর্তাদের একাংশের।

আরও পড়ুন
Advertisement