Tea Garden

টানা বৃষ্টিতে স্বস্তিতে চা বাগান

দার্জিলিং চায়ের উৎপাদনও কমেছে। চা গাছ বাঁচিয়ে রাখতে জল সেচ করতে হয়েছে। তাতে ভাল মানের পাতা মেলেনি বলে আক্ষেপ চা বাগানগুলির।

Advertisement
অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ০৮:২০
স্বস্তির বৃষ্টিতে সবুজ হল চা বাগান। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে। 

স্বস্তির বৃষ্টিতে সবুজ হল চা বাগান। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে।  ছবি: সন্দীপ পাল।

দীর্ঘদিন বাদে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি পেয়েছে একাধিক চা বাগান। কোথাও বুধবার রাতে, কোথাও বৃহস্পতিবার ভোরে কিছুক্ষণ টানা বৃষ্টি হয়েছে। চায়ের পক্ষে এই বৃষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। বৃষ্টি ছাড়া, দ্বিতীয় ‘ফ্লাশ’-এর পাতা এবং চা গাছে কুঁড়ি আসত না বলেই অনুমান। যদিও আরও বৃষ্টি চাইছে চা বলয়। এই সময়ে যত বেশি বৃষ্টি হবে, তত ভাল মানের চা পাতা পাওয়া যাবে বলে দাবি চা উৎপাদনকারীদের। বৃষ্টির অভাবে উত্তরবঙ্গের চায়ের প্রথম ‘ফ্লাশ’-এ অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। দার্জিলিং চায়ের উৎপাদনও কমেছে। চা গাছ বাঁচিয়ে রাখতে জল সেচ করতে হয়েছে। তাতে ভাল মানের পাতা মেলেনি বলে আক্ষেপ চা বাগানগুলির। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলছে চা বলয়ে। যদিও কোচবিহার লাগোয়া চা বলয়ে তেমন বৃষ্টি হয়নি। পাতার উৎপাদন কম হওয়ায় বহু চা কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

ছোট চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের (সিস্টা) সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “বৃষ্টি ভাল হয়েছে। চা গাছে এ বার তাড়াতাড়ি পাতা কুঁড়ি আসবে। তবে দ্বিতীয় ফ্লাশকে ভাল করতে আরও বৃষ্টি চাই।” চা বাগান পরিচালকদের সংগঠন ‘টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র উত্তরবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, “বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে ঠিকই, কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারছি না। বহু বাগান বৃষ্টি পায়নি। সেখানকার পরিস্থিতি তথৈবচ। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও, তেমনটা হচ্ছে না। তাই সামগ্রিক ভাবে উৎপাদন পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি।”

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্ত ভাবে চলবে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি না হলেও, সর্বত্রই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাটি শুকিয়ে গিয়েছিল। যদিও চায়ের ক্ষেত্রেই ক্ষতির পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি। চায়ের সঙ্গে অন্য ফসলেরও বৃষ্টিতে লাভ হয়েছে বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে। অনেক কৃষক ধানের বীজতলা তৈরি করছেন, তাঁদেরও সুবিধে হবে বলে মনে করছে কৃষি দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement